‘একদম ফালতু কথা বলবেন না’! সংবাদমাধ্যমের ওপর তুমুল ‘চোটপাট’ শতাব্দীর! তারপর…

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনে বীরভূম কেন্দ্র থেকে ফের শতাব্দী রায়কে (Satabdi Roy) টিকিট দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)। জোরকদমে প্রচার করছেন জোড়াফুল প্রার্থী। সোমবার বীরভূমের বাতাসপুর গ্রামে গিয়েছিলেন তিনি। সেখানে প্রচারের মাঝে আমচকাই সংবাদমাধ্যমের ওপর চটে যান তৃণমূল নেত্রী।

সম্প্রতি রামপুরহাটের খরবোনা গ্রামে নির্বাচনী কর্মীসভায় গিয়ে পানীয় জলের সমস্যার কথা শুনতে হয়েছিল শতাব্দীকে। দলের কর্মীরা পর্যন্ত এলাকায় পানীয় জলের দাবিতে সুর চড়িয়েছিলেন। সেই ঘটনা ক্যামেরাবন্দি করার সময় তৃণমূল (Trinamool Congress) নেত্রী সংবাদমাধ্যমের ওপর সরব হয়েছিলেন। গতকালও দেখা গেল এক চিত্র!

গতকাল শতাব্দীকে হাতের নাগালে পেয়ে নিজেদের অভাব-অভিযোগের কথা জানান বাতাসপুর গ্রামের বাসিন্দারা। এরপর ঘটনাস্থলে উপস্থিত সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিরা গ্রামবাসীদের কিছু প্রশ্ন করলে তেতে ওঠেন বীরভূমের বিদায়ী সাংসদ! সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিরা সঠিক প্রশ্ন করেননি বলে দাবি করেন তৃণমূল নেত্রী।

আরও পড়ুনঃ হাঁসফাঁস গরমে বন্ধ ফ্যান, দিচ্ছে না খাবার! NIA-র বিরুদ্ধে অভিযোগে সরব ভূপতিনগরের তৃণমূল নেতা

এলাকাবাসীর কাছে কেন গাড়ি আটকে বিক্ষোভ দেখালেন এই প্রশ্ন করা উচিত হয়নি বলে মন্তব্য করেন শতাব্দী। বরং সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের জিজ্ঞেস করা উচিত ছিল, কী আবেদন করলেন? মনে করেন জোড়াফুল প্রার্থী (Birbhum TMC Candidate)। এই নিয়েই সরব হন তিনি।

রীতিমতো আঙুল উঁচিয়ে কথা বলতে দেখা যায় শতাব্দীকে। তৃণমূল নেত্রী বলেন, ‘একদম ফালতু কথা বলবেন না’। এরপর গ্রামবাসীদের উদ্দেশে তিনি জিজ্ঞেস করেন, ‘আপনারা কি বিক্ষোভ দেখিয়েছেন নাকি আবেদন করেছেন?’ জবাবে এলাকাবাসী বলেন, ‘আবেদন করলাম’। একথা শোনার পর তৃণমূল প্রার্থী বলেন, ‘ওনারা আবেদন করেছে। বিক্ষোভ দেখায়নি। আপনাকে এটা বলতে হবে’।

Satabdi roy

উল্লেখ্য, চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনে বীরভূম কেন্দ্রের দিকে নজর থাকবে অনেকের। প্রথমত, এবারের লোকসভা নির্বাচনে অনুব্রত মণ্ডল নেই। দ্বিতীয়ত, বিজেপির তরফ থেকে এই আসনে দাঁড় করানো হয়েছে প্রাক্তন আইপিএস দেবাশিস ধরকে। প্রার্থী হিসেবে তাঁর নাম ঘোষণার পর একাধিকবার সরব হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। শতাব্দী নাকি দেবাশিস, ভোট ময়দানের এই লড়াইয়ে শেষ হাসি কে হাসে সেটাই এবার দেখার।

Sneha Paul
Sneha Paul

স্নেহা পাল, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তরের পর সাংবাদিকতা শুরু। বিগত প্রায় ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর