নেই টিচার, বিনা বেতনে পড়ানোর আর্জি! বীরভূমের স্কুলের প্রধান শিক্ষকের বিজ্ঞপ্তিতে বিতর্ক

বাংলা হান্ট ডেস্ক : শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) কাণ্ডে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। ইতিমধ্যেই রাজ্যের একাধিক তাবড় তাবড় নেতা এখন শ্রীঘরে। পার্থ চট্টোপাধ্যায় থেকে মাণিক চট্টোপাধ্যায়ের মত রাঘব বোয়ালরা এখন এই মামলায় জেল খাটছে। এসবের মাঝেই সামনে এল রাজ্যের ভেঙে পড়া শিক্ষাব্যবস্থার এক করুণ কাহিনী।

আসলে সম্প্রতি একটি বিজ্ঞাপনের ছবি ব্যাপক ভাইরাল (Viral Post) হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়‌। ভাইরাল ছবি থেকে জানা যাচ্ছে, বিজ্ঞাপনটি বীরভূমের (Birbhum) রাজনগর হাই স্কুলের। স্কুল কর্তৃপক্ষ এই বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে জানিয়েছে, তাদের বিদ্যালয়ে দু’জন শিক্ষকের অভাব রয়েছে। যদি কোনও ইচ্ছুক ব্যক্তি চান তাহলে এই বিদ্যালয়ে গিয়ে ছাত্র ছাত্রীদের পাঠদান করতে পারেন। সম্প্রতি এই বিজ্ঞাপনকে ঘিরেই শুরু হয়েছে তুমুল হইচই।

এখন ভাবছেন যে, এমন সাধারণ একটা বিজ্ঞাপন নিয়ে এত হইচই-র কারণ কী? আসলে এই সাধারণ বিজ্ঞাপনের মধ্যেই লুকিয়ে রয়েছে রাজ্যের ভেঙে পড়া শিক্ষাব্যবস্থার ছবি। বিজ্ঞাপনের দাবি অনুযায়ী, বিদ্যালয়ে রাষ্ট্রবিজ্ঞান এবং শিক্ষাবিজ্ঞানের ছাত্রছাত্রী থাকলেও তাদের পড়ানোর মত শিক্ষক বা শিক্ষিকা নেই। অথচ ছাত্রছাত্রীদের আগ্রহ রয়েছে এই বিষয়গুলির উপর।

আরও পড়ুন : ঋণে জর্জরিত, তারপরেও চীনপন্থী দলেই ভরসা মালদ্বীপের! রেকর্ড ব্যবধানে জয়ী মুইজ্জু

1 20240422 123218 0000

এমন আবহে কোনও সহৃদয় ব্যক্তিরা যদি এই দুটি বিষয়ে পাঠদান করতে আগ্রহী হন তাহলে তারা যেন বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করে। উল্লেখ্য, এই বিজ্ঞাপনে কোনোরূপ সাম্মানিক বা পারিশ্রমিকের কথা উল্লেখ করা নেই। এমতাবস্থায় নেটিজেনদের প্রশ্ন, সরকার যদি সমস্ত নিয়োগ স্বচ্ছভাবে করেছে তাহলে বিদ্যালয়ের এই অবস্থা কেন? পড়ুয়া রয়েছে অথচ তাদের পড়ানোর জন্য শিক্ষক শিক্ষিকা নেই‌। এভাবে কি হবে রাজ্যের উন্নতি? নাকি দিনদিন পিছিয়েই যেতে থাকবে বঙ্কিমচন্দ্র, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বাংলা।


Moumita Mondal
Moumita Mondal

মৌমিতা মণ্ডল, গ্র্যাজুয়েশনের পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। বিগত ৩ বছরেরও বেশি সময় ধরে লেখালেখির সাথে যুক্ত। প্রায় ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর