কলকাতা পুরসভায় জন্ম শংসাপত্র নেওয়ার হিড়িক! SIR ‘জুজু’ আতঙ্কে লম্বা লাইন ধর্মতলায়

Published on:

Published on:

Birth Certificate Rush at Kolkata Municipality amid SIR Panic

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বিশেষ নিবিড় সমীক্ষা অর্থাৎ SIR ঘোষণার পর এবার আতঙ্ক ছড়াল কলকাতা পুরসভার (Kolkata Municipality) জন্ম শংসাপত্র বিভাগে। কলকাতা পুরসভার ধর্মতলার কেন্দ্রীয় ভবনে সকাল থেকেই উপচে পড়ছে মানুষের ভিড়। অনেকে বয়স্ক নাগরিক, যাঁদের জন্মের সময় কোনও শংসাপত্র ছিল না, তাঁরা কিংবা তাঁদের পরিবারের সদস্যরা হুড়োহুড়ি করে নতুন শংসাপত্রের জন্য আবেদন করছেন। কেউ কেউ ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে রয়েছেন প্রয়োজনীয় কাগজ জমা দিতে।

পুরসভা ভবনে (Kolkata Municipality) উপচে পড়া ভিড়

পুরসভা (Kolkata Municipality) সূত্রে জানা গিয়েছে, গত কয়েক দিনে জন্ম শংসাপত্রের আবেদন বেড়েছে কয়েক গুণ। বিশেষ করে উত্তর ও দক্ষিণ কলকাতার বিভিন্ন ওয়ার্ডের মানুষ ধর্মতলার কেন্দ্রীয় ভবনে ভিড় জমাচ্ছেন। অনেক প্রবীণ নাগরিকও আসছেন পরিবারের তরফে। স্বাভাবিকভাবেই এত বিপুল সংখ্যক শংসাপত্র একসঙ্গে ইস্যু করা প্রশাসনের পক্ষে বেশ কঠিন হয়ে পড়েছে।

আতঙ্ক তৈরি করছে বিজেপি, অভিযোগ ফিরহাদ হাকিমের

এই প্রসঙ্গে কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, “বিজেপি আতঙ্ক তৈরি করছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী আছেন। একজন নাগরিকেরও অধিকার কেউ কাড়তে পারবে না।” মেয়রের দাবি, অযথা ভয় দেখিয়ে সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে। ফিরহাদ আরও বলেন, “ইডি, সিবিআই দিয়ে আমাদের ভয় দেখিয়েছে। এখন আম জনতাকে ভয় দেখাচ্ছে।”

পুরসভা (Kolkata Municipality) কর্মীদের একাংশের বক্তব্য, সাধারণ সময়ের তুলনায় কয়েকগুণ বেশি মানুষ জন্ম শংসাপত্র নিতে আসছেন। ফলে ফাইল যাচাই, তথ্য পরীক্ষা, এবং শংসাপত্র ইস্যু করতে অতিরিক্ত সময় লাগছে। অনেক কর্মীকে বাড়তি সময় কাজ করতে হচ্ছে যাতে আবেদনকারীদের দ্রুত পরিষেবা দেওয়া যায়।

Birth Certificate Rush at Kolkata Municipality amid SIR Panic

আরও পড়ুনঃ ‘রহিমার মা’ থেকে ‘মিনতির মা’, কেউ নেই! SIR ঘোষণা হতেই রহস্যজনকভাবে উধাও পরিচারিকারা, চাঞ্চল্য বিরাটি-বিশপাড়ায়

মেয়র ও পুরসভার (Kolkata Municipality) পক্ষ থেকে স্পষ্ট জানানো হয়েছে, আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই। “যাঁদের প্রয়োজন আছে, তাঁরা নিয়ম মেনে আবেদন করুন। প্রশাসন পাশে আছে,” জানিয়েছে পুরসভা। তবে সাধারণ মানুষকে ভিড় এড়াতে অনলাইন আবেদন ব্যবস্থাকে বেশি করে ব্যবহার করার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে।