বাংলা হান্ট ডেস্কঃ মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat) এই বছর বিজয়া দশমীর দিন বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, হিন্দু সমাজে কমছে জন্মহার। এইভাবে যদি চলতে থাকে তাহলে একটা সময় দেশে সংখ্যাগুরু হয়ে যাবে মুসলিমরা। একটি দেশের ভৌগোলিক সীমানা সঠিক রাখার জন্য ধর্মভিত্তিক জনসংখ্যার নিয়ন্ত্রণ খুবই প্রয়োজন। মোহন ভাগবত এর এই বক্তব্যকে মাথায় রেখে আগামীকাল থেকে চারদিনের জন্য সঙ্ঘ পরিবারের কার্যসমিতির সভা শুরু হতে চলেছে। সভার অন্যতম প্রধান বিষয় হলো সরসঙ্ঘচালকের বক্তব্যের কিভাবে বাস্তব রূপ দান করা যায় তা নিয়ে আলোচনা।
সঙ্ঘ পরিবারের মুখপাত্র সুনীল অম্বেকর বলেছেন, ” গত বিজয়া দশমীর দিন সরসঙ্ঘচালক মোহন ভাগবত যে বিষয়গুলি নিয়ে বক্তব্য পেশ করেছিলেন, সেইগুলি যাতে ভবিষ্যতে বাস্তবে রূপান্তরিত করা যায় সেই বিষয়ে আলোচনা করা হবে এই বৈঠকে।” অন্যদিকে, ২০২৫ সালে সঙ্ঘ পরিবার পা দেবে ১০০ তম বর্ষে। ১০০ তম বার্ষিকী বিশেষভাবে উদযাপন করার জন্য ইতিমধ্যে তৎপরতা শুরু হয়ে গিয়েছে।
বিজয়া দশমীর দিন সরসঙ্ঘচালক মোহন ভাগবত বলেছিলেন, ধর্মভিত্তিক জনসংখ্যার তারতম্য ভৌগোলিক সীমানা পরিবর্তন করতে পারে। সঙ্ঘ পরিবার তাই দীর্ঘদিন ধরে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ আইনের পক্ষে সওয়াল করে আসছে। যদিও সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, জন্মনিয়ন্ত্রণ ভালোভাবে মোকাবিলা করায় আপাতত ওই বিল আনতে চাইছে না তারা।
কিন্তু সঙ্ঘ পরিবার চাইছে, আগামী দিনে আইন করে জন্মনিয়ন্ত্রণ করা হোক। তাদের দাবি, জনসংখ্যা কমেছে মূলত হিন্দু সমাজে। সেই তুলনায় মুসলিম সমাজের জন্ম নিয়ন্ত্রণ হার খুবই কম। এইভাবে যদি চলতে থাকে একটা সময় সারা দেশে সংখ্যাগুরু হয়ে পড়বে মুসলিমরা। এই বিষয়টিকে প্রাধান্য দিয়ে আগামী চার দিনের জন্য উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে শুরু হওয়া সঙ্ঘ পরিবারের সভায় আলোচনা হবে জন্মনিয়ন্ত্রণ বিল নিয়েও।