বাংলা হান্ট ডেস্কঃ শিক্ষা থেকে শুরু করে স্বাস্থ্য, একের পর এক দুর্নীতি মামলায় ক্রমশ অস্বস্তি বেড়ে চলেছে শাসক দলের আর এবার এক বিজেপি (BJP) বিধায়ককে তৃণমূলের কংগ্রেসের (Trinamool Congress) পক্ষ থেকে সাংগঠনিক জেলার সভাপতি বানানো নিয়ে পুনরায় একবার সরগরম হয়ে উঠল বঙ্গ রাজনীতি। শুনতে অবাক লাগলেও বনগাঁ সাংগাঠনিক জেলার সভাপতি পদে নিযুক্ত করা হয়েছে বিশ্বজিৎ দাসকে (Biswajit Das)।
বর্তমানে তৃণমূল কংগ্রেস দলে থাকলেও খাতায়-কলমে এখনো পর্যন্ত তিনি বাগদার বিজেপি বিধায়ক। কয়েকদিন পূর্বেই বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে রানি রাসমণির তুলনা করে বিতর্কে জড়িয়ে ছিলেন বিশ্বজিৎবাবু আর এবার সৃষ্টি নতুন আরেক বিতর্ক। উল্লেখ্য, গত বিধানসভা নির্বাচনে ২০০ ভোটে স্বপ্ন দেখিয়েও শেষ পর্যন্ত ৭৭-এ থেমে যায় বিজেপির রথ। এরপর থেকে বিজেপি ছেড়ে শাসক দলে যোগদান করতে থাকেন একাধিক নেতা-নেত্রীরা। মুকুল রায়, রাজীব ব্যানার্জি থেকে শুরু করে অর্জুন সিং এবং বাবুল সুপ্রিয়র মতো নেতারা তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার ফলে স্বাভাবিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়ে বিজেপির সংগঠন।
এক্ষেত্রে মুকুল রায়, কৃষ্ণ কল্যানী এবং বিশ্বজিৎ দাসের মতো নেতারা এখনো পর্যন্ত খাতায়-কলমে বিজেপি বিধায়ক থাকলেও যোগদান করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসে। এ প্রসঙ্গে শুভেন্দু অধিকারী হুঁশিয়ারি দিলেও এখনো পর্যন্ত কিছুই করে উঠতে পারেনি BJP।
প্রসঙ্গত, রাজনৈতিক কেরিয়ারের প্রথমে কংগ্রেসে থাকলেও পরবর্তীতে ঘাসফুল শিবিরে অন্তর্ভুক্তি ঘটে বিশ্বজিৎ দাসের। পরবর্তীতে ২০১১ এবং ২০১৬ সালে বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূলের টিকিটে জয়লাভ করলেও পরবর্তীতে মুকুল রায়ের হাত ধরে বিজেপিতে আগমন ঘটে তাঁর। গত বছর বিধানসভা নির্বাচনে বাগদা কেন্দ্র থেকে বিজেপির টিকিট জয়লাভ করেন বিশ্বজিৎবাবু। তবে অবশেষে আগস্ট মাসে পুনরায় একবার শাসক দলে প্রত্যাবর্তন ঘটে তাঁর।
উল্লেখ্য, মাঝের সময়ে তৃণমূল কংগ্রেস দলের হয়ে কামব্যাক করলেও বিজেপির বিধায়ক পদ ছাড়েন নি বিশ্বজিৎ দাস, যা নিয়ে ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকবার তাঁর উদ্দেশ্যে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। এর মাঝে আবার সম্প্রতি রানি রাসমণির সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তুলনা করে বসেন বিশ্বজিৎবাবু। তিনি জানান, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মধ্যে রানি রাসমণির ছায়া খুঁজে পাই আমি। যেভাবে গরিব মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে চলেছেন তিনি, তা রাসমণিকে মনে করায়।” এই প্রসঙ্গে গোটা বাংলা জুড়ে একাধিক বিতর্কের সৃষ্টি হয় আর এদিন বনগাঁ সাংগঠনিক জেলা সভাপতি পদে বিশ্বজিৎকে নিযুক্ত করার মাধ্যমে পুনরায় একবার বিতর্কে সৃষ্টি হলো বলেই মত বিশেষজ্ঞদের।