বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সাম্প্রতিককালে বাংলায় স্বাস্থ্য, শিক্ষা সহ অন্যান্য একাধিক দুর্নীতির বিষয়ে নাম জড়িয়ে চলেছে শাসকদলের। তৃণমূল কংগ্রেসের(TMC) নেতা নেত্রী থেকে শুরু করে দলীয় কর্মীদের জড়িত থাকার বিষয়ে অভিযোগ এনেছে বিরোধী দলগুলি। এর মাঝেই দলের সকলকে একসূত্রে বেঁধে রাখার আহ্বান দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। তবে তাঁর সেই ডাকে সাড়া দেওয়ার পরিবর্তে বরং দলের বিরুদ্ধেই বর্তমানে কথা বলতে দেখা গেলো বীরভূম(Birbhum) জেলা কমিটির এক তৃণমূল সদস্যকে।
অতীতে একাধিকবার তৃণমূল নেতাদের নিজের দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিতে দেখা যায়। গতকাল সেই ধারা বজায় রেখে বিশ্বজিৎ মুখোপাধ্যায়ের দাবি, “আমরা ধান্দাবাজ হওয়ার পাশাপাশি মানুষকেও ধান্দাবাজ করে দিয়েছি।”
আগামী একুশে জুলাই শহীদ দিবস উপলক্ষ্যে বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন প্রান্তে প্রস্তুতি সভার আয়োজন করে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। করোনা পরবর্তী সময়ে এই বছর বিশাল মাত্রায় শহীদ দিবস পালন করতে চাইছে দল। এই সকল প্রস্তুতি সভা মাঝেই গতকাল বীরভূম জেলার মহম্মদবাজার এলাকায় একটি কর্মীসভার আয়োজন করা হয়। সেখানে বক্তৃতা দিতে উঠে বিশ্বজিৎবাবুর মুখে শোনা যায় বিস্ফোরক দাবি।
তিনি বলেন, “আমাদের এলাকায় বুথ স্তরে কোনরকম সংগঠন নেই। শুধুমাত্র পঞ্চায়েতের কাজ ব্যতীত অন্য কোন কাজ করা হয়ে থাকে না। এমনকি কমিটিগুলিতে সদস্য সংখ্যার মাত্রা ভিন্ন। কোথাও কম তো কোথাও বেশি। এক্ষেত্রে কমিটির সকল সদস্যকে ৫০০ টাকা করে ভাগ করে দিলেই হল।” এছাড়াও দুর্নীতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “লোহাবাজার এলাকায় জলের দুর্দশা বহুদিনের। গরমের সময় সেই পরিস্থিতি আরো সংকটজনক হয়ে দাঁড়ায়। এমনকি এলাকাবাসীদের বারংবার অনুরোধ করা সত্ত্বেও কোন লাভ হচ্ছে না। এক্ষেত্রে সাবমার্সিবলে জলের পরোয়া না করে চাঁদা নেওয়া একমাত্র লক্ষ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমরা সকলে ধান্দাবাজ হয়ে উঠেছি আর মানুষকেও তাতে পরিণত করছি। আমাদের আগে নিজেদের ভিতরকার সকল স্বার্থ ত্যাগ করতে হবে।”
উল্লেখ্য, সম্প্রতি মহম্মদবাজার এলাকায় তাপস সিনহার জায়গায় ব্লক সভাপতি পদে নতুন দায়িত্ব দেওয়া হয় শুভ্রাংশ চৌধুরীকে। তবে এরপরেও গতকালের এই ঘটনা বিতর্ক আরো বাড়িয়ে দেবে বলেই মনে করা হচ্ছে।