বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্ক: বিশ্বকাপে সকলে আশঙ্কা করছিলেন যা ঘটন-ঘটনার সমস্ত গ্রুপ পর্বেই ঘটে গিয়েছে। ‘শেষ ১৬’ পড়বে যেই দল গুলির ওপর সকলের বেশি প্রত্যাশা ছিল, তারাই জয় পেয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে। ব্যতিক্রম শুধুমাত্র একটি ম্যাচ। সেটি হল ২০১০ বিশ্বকাপজয়ী স্পেন বনাম অ্যাটলাস লায়ন্স বলে পরিচিত মরক্কোর মধ্যে আয়োজিত ম্যাচটি।
বিশ্বকাপের শুরুটা অসাধারণ হয়েছিল স্প্যানিশ দলের। লুইস এনরিকের ছেলেরা প্রথম ম্যাচে কোস্তারিকাকে ৭-০ ফলে উড়িয়ে দিয়ে নিজেদের যাত্রা শুরু করেছিল। দ্বিতীয় ম্যাচ ছিল জার্মানির বিরুদ্ধে যেখানে তারা প্রথমে এগিয়ে গিয়েও জয় পেতে ব্যর্থ হয় জার্মানির শেষ দিকের গোলে। এরপর জাপানের বিরুদ্ধে ম্যাচে প্রথমার্ধের মোরাতার হেড থেকে এগিয়ে গিয়ে দ্বিতীয়ার্ধে দুই গোল হজম করতে হয়েছিল স্পেনকে। প্রথম ম্যাচটি বাদ দিলে তাদের পাসিং ফুটবল খুব বেশি ফলপ্রসূ হয়নি।
অপরদিকে টুর্নামেন্টের শুরু থেকেই মরক্কোর পরিকল্পনা ছিল পরিষ্কার। রোমান সিইস, নাইফ আগুয়ার্ড, আমরাবাটদের কেন্দ্র করে মরিয়া ডিফেন্ডিং এবং প্রতিপক্ষ যেন কোনওভাবেই গোল না পায় সেটা নিশ্চিত করা। এমনভাবেই গ্রূপপর্বে তারা রুখে দিয়েছিল গতবারের রানার্স আপ ক্রোয়েশিয়াকে। ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে ২ নম্বরে থাকা বেলজিয়ামকেও এভাবেই হারিয়েছিল তারা। কালকের নকআউট ম্যাচে তাদের এই ডিফেন্স ভেদ করতে ব্যর্থ হল স্পেনও।
কাল টাইব্রেকারে দুটি পেনাল্টি বাঁচিয়ে নায়ক হওয়া মরক্কোর সেভিয়ার হয়ে খেলা তারকা গোলরক্ষক ইয়াসিন বোনোর প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়ে উঠেছিলেন ফুটবলপ্রেমীরা। যে দুর্দান্ত অনুমান ক্ষমতার পরিচয় দিয়ে তিনি সোলার ও বুস্কেটসের পেনাল্টিগুলি বাঁচিয়েছিলেন, তা দেখে অভিভূত ফুটবলবিশ্ব।
বোনো অবশ্য নিজে রয়েছেন নিজের স্বাভাবিক মেজাজে। পেনাল্টি শুট আউটের সময়ও দেখা গেছিল তাকে অত্যন্ত শান্ত মেজাজে। কাল ম্যাচের সেরা পুরস্কার হাতে নিয়ে তিনি লাজুক স্বরে বলেন, “পেনাল্টির ব্যাপারটা সকলেই জানেন কিছুটা ভাগ্য এবং কিছুটা অনুমান ক্ষমতার উপর নির্ভর করে আমাদের নিজেদের কাজ করতে হয়। কাল সেটা করতে সফল হয়েছি আমি।” স্পেনকে হারানোর পর এবার পরবর্তী প্রতিপক্ষ ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর পর্তুগাল। তাদের বিরুদ্ধেও পরিকল্পনা কি একই রকম থাকতে চলেছে মরক্কোর। জবাবে মরক্কোর গোলকিপার শুধু এটুকুই জানিয়েছেন যে তারা নিজেদের সেরাটা দেবেন।