বাংলা হান্ট ডেস্কঃ দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে রবিবার বাংলার দ্বিতীয় দফার প্রার্থিতালিকা প্রকাশ করেছে বিজেপি (BJP)। আর তাতে সবথেকে বড় চমক নিঃসন্দেহে বসিরহাট আসনে সন্দেশখালির গৃহবধূ। সন্দেশখালির আন্দোলনের প্রতিবাদী মুখ রেখা পাত্রকে (BJP Candidate Rekha Patra) এবার বসিরহাট (Basirhat) থেকে টিকিট দিয়েছে গেরুয়া শিবির। এই কেন্দ্রে বিজেপি নেত্রী ফাল্গুনী পাত্র এবং পরে ভারতী ঘোষের নাম নিয়ে বেশ চর্চা হচ্ছিল। তবে জানা যাচ্ছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নিজে প্রার্থী হিসেবে গৃহবধূ রেখার নাম চূড়ান্ত করেছেন।
সন্দেশখালিতে নারী আন্দোলনের মুখ ছিলেন তিনি। কোনো রকম ভয়কে তোয়াক্কা না করে নারী নিগ্রহ নিয়ে মুখ খুলেছিলেন রেখা। তার কণ্ঠ ছড়িয়ে পড়ে গোটা বাংলায়। সন্দেশখালি কাণ্ডের মূল হোতা শেখ শাহজাহানের বিরুদ্ধেও প্রতিবাদে নামেন রেখা। বিতাড়িত তৃণমূল নেতা শিবু হাজরার বিরুদ্ধে তার অভিযোগের ভিত্তিতেই প্রথম এফআইআর দায়ের করে পুলিশ। আর সেই প্রতিবাদী মুখকে এবার লোকসভায় নিয়ে যেতে চাইছে বিজেপি।
বসিরহাট আসনে এর আগে তৃণমূলের তারকা প্রার্থী নুসরত জাহান সাংসদ ছিলেন। তবে একাধিক বিতর্ক ও সন্দেশখালি ইস্যুর পর তাকে এবার টিকিট দেয়নি দল। পরিবর্তে প্রার্থী করা হয়েছে নুরুল ইসলামকে। আর হেভিওয়েট এই জোড়াফুল প্রার্থীর বিরুদ্ধে এবার বিজেপির হয়ে লড়বেন সন্দেশখালির ঘরের বউ রেখা পাত্র।
প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার পর রেখা বলেন, ‘মোদীজীকে অনেক ধন্য়বাদ। উনি আমার মতো একজন গ্রামের মহিলাকে প্রার্থী করেছেন। আমি সব সময় আমার মা বোনেদের পাশে থাকব। আমি ওনাদের হয়ে প্রতিবাদের মুখ হব।’
আরও পড়ুন: বৃষ্টির জেরে ভেস্তে যাবে দোল? সকাল থেকেই ভিজবে বাংলার একাধিক জেলা: আবহাওয়ার খবর
সূত্রের খবর, গত ৬ মার্চ বারাসতে সভা করতে এসে মোদী যেসকল সন্দেশখালির ‘নির্যাতিতা’ মহিলার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন, তাদের মধ্যেই ছিলেন রেখা। তখনই প্রার্থী হিসেবে রেখার নাম মাথায় আসে বিজেপির। পরে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে এই নাম বিবেচনা করেন। এরপর দলের রাজ্যস্তরে আলোচনা হলে নাম পাঠানো হয় কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে। আর সেই নামই ফাইনাল করে গেরুয়া শিবির। শেষবেলায় বিজেপির এই চাল শাসকদলকে বেশ খানিকটা চিন্তায় ফেলল বলেই মত ওয়াকিবহাল মহলের।