Ekchokho.com 🇮🇳

রাজ্যপালের ক্ষমতা খর্ব করার অভিযোগ, জমি ট্রাইব্যুনাল বিল পাশ নিয়ে কাঠগড়ায় তৃণমূল

Published on:

Google News
Follow Us

বাংলাহান্ট ডেস্ক : রাজভবনের ক্ষমতা কেড়ে নিচ্ছে রাজ্য সরকার (Trinamool Congress)। রাজভবনের ক্ষমতার উপরে হস্তক্ষেপ করার অভিযোগ তুলল বিজেপি (BJP)। গত ২৪ শে জুন বিধানসভা অধিবেশনের শেষ দিন। এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অধীনের ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরে একটি সংশোধনী বিল পাশ হয়েছে। বিরোধী শূন্য বিধানসভায় পাশ হয় বিলটি। তারপরেই বিজেপির (BJP) পরিষদীয় দল অভিযোগ করে, জমি সংক্রান্ত বিষয়ে সাধারণ মানুষের সমস্যা সমাধান করার যে ক্ষমতা রাজ্যপালের হাতে ছিল তা রাজ্য সরকার কেড়ে নিয়েছে।

বিধানসভায় পাশ জমি ট্রাইব্যুনাল বিল (Trinamool Congress)

গত সোমবার সকালে বিধানসভার স্পিকারের ঘরে কার্যবিবরণী কমিটির বৈঠক বসেছিল। বিধানসভায় অধিবেশন শেষ হওয়ার আগের দিনই ঠিক হয়েছিল যে ‘দ্য ওয়েস্ট বেঙ্গল ল্যান্ড রিফর্মেশন অ্যান্ড টিনান্সি ট্রাইব্যুনাল বিল ২০২৫’ আনা হবে। সেই মতোই অধিবেশন শেষ হওয়ার দিন দ্বিতীয়ার্ধে পাশ করা হয় বিলটি। উল্লেখ্য, এই বিল নিয়ে আলোচনায় অংশ নেয়নি বিজেপির (BJP) বিধায়করা। কারণ সোমবার অধিবেশনে চার বিজেপি বিধায়ককে সাসপেন্ড করার প্রতিবাদে মঙ্গলবার অধিবেশন বয়কট করে বিজেপির পরিষদীয় দল।

Bjp accused Trinamool Congress to curb governor powers

অভিযোগ বিজেপি পরিষদীয় দলের: এই বিলের বিরুদ্ধে তাদের অভিযোগ, এতদিন ট্রাইব্যুনালে সদস্য নিয়োগ করার ক্ষমতা রাজ্যপালের হাতে ছিল। কিন্তু এই বিল পাশের পর সেই ক্ষমতা রাজ্য সরকার (Trinamool Congress) নিজেদের হাতে নিয়ে নিয়েছে। বিজেপি (BJP) বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল কটাক্ষ করেন, ‘পশ্চিমবঙ্গের সব ভূমি কৌশল করে তৃণমূল ঘনিষ্ঠ ভূমি মাফিয়ারা দখল করে নিচ্ছে। তৃণমূল নেতাদের আশীর্বাদে দখলদারি চলছে। পুলিশকে জানিয়েও কোনো লাভ নেই। আর এখন ট্রাইব্যুনালের ন্যায়ও কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। সাধারণ মানুষ অভিযোগ নিয়ে কোথায় যাবে?’

আরো পড়ুন : পুরীতে ফের অঘটন, ভিড় নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ পুলিশ, গুন্ডিচা মন্দিরের কাছে পদপিষ্ট হয়ে মৃত ৩

পালটা জবাব তৃণমূলের: তিনি আরো প্রশ্ন তুলেছেন, তিন সদস্যের যে দল গঠন করা হয়েছে, তার মধ্যে দুজনেই রয়েছে সরকার পক্ষের। ন্যায়বিচার তাহলে কোথা থেকে আসবে? পালটা মুখ খুলেছেন লালগোলার তৃণমূল (Trinamool Congress) বিধায়ক মহম্মদ আলি। তাঁর মতে, সংশোধনী বিলটি পাশ করিয়ে ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ করা হয়েছে শুধু। তাই বিজেপির (BJP) পরিষদীয় দলের অভিযোগ সঠিক নয়।

আরো পড়ুন : বুথে লাইন দেওয়ার ঝক্কি শেষ, বাড়িতে বসে মোবাইলেই দিতে পারবেন ভোট! বড় উদ্যোগ এই রাজ্যের

উল্লেখ্য, এই সংশোধনী বিল কার্যকর হলে রাজ্যপালের কাছে আর ট্রাইব্যুনালে সদস্য নিয়োগের ক্ষমতা থাকবে না। তবে রাজ্য সরকার যদি রাজ ভবনের ক্ষমতা নিজের হাতে নিতে চায় তা কতদূর কার্যকর হবে তা নিয়ে রয়েছে সংশয়। কারণ বিলটি বিধানসভায় পাশ হয়েছে ঠিকই, তবে রাজ্যসভায় তা পাশ হওয়া নিয়ে ধন্দ রয়েছে প্রশাসনিক মহলেই। বিলে ক্ষমতা খর্ব করার কথা উল্লেখ থাকা সত্ত্বেও সেই বিলে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস আদৌ সম্মতি দেবেন কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে নবান্নের অন্দরেই।