বাংলাহান্ট ডেস্কঃ বাংলায় (West bengal) একের পর এক বিজেপি (Bharatiya Janata Party) কর্মী খুনের অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এবার বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ (Saumitra Khan) নিজেই উপস্থিত হলেন নদীয়ার বিজেপি কর্মী বাপি ঘোষের বাড়িতে। বৃহস্পতিবার রাতে সৌমত্র খানের উপস্থিতিতে কান্নার রোল উঠেছিল গোটা এলাকাজুড়ে।
হেমতাবাদের বিজেপি বিধায়ক দেবেন্দ্রনাথ রায়ের রহস্যজনক মৃত্যুর মধ্যেই খুন হয় আরও এক বিজেপি কর্মী বাপি ঘোষ। নদীয়ার ভীমপুরের কুলগাছির এই ঘটনায় পুলিশ এখনও অবধি তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে বলে জানা গিয়েছে। মৃত বাপি ঘোষের পরিবারের লোকজনের সঙ্গে বৃহস্পতিবার রাতে দেখা করতে গিয়েছিলেন বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ।
বিজেপি কর্মীর খুনের ঘটনায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছে সবুজ শিবির। এই ঘটনার পরবর্তীতে বিজেপির অন্যতম সাধারণ সম্পাদক সঞ্জয় সিং, সাংসদ অর্জুন সিং, সাংসদ জগন্নাথ সরকার শুক্রবার নদীয়ায় যাবেন বলেও জানা গিয়েছে।
এবিষয়ে নদীয়া উত্তরের বিজেপি সভাপতি আশুতোষবাবুর অভিযোগ করেছেন, “তৃণমূল দুষ্কৃতীরাি বিজেপি কর্মী বাপী ঘোষকে খুন করেছে। জমির জল বাঁধা নিয়ে গন্ডগোলের জেরেই বাকবিতন্ডার সূত্রপাত। বাপি তাতে যুক্ত না থাকলেও, ১৪ জুলাই সালিশি সভার শেষে তৃণমূলের সদস্যরা বাপির মাথায় বাঁশ দিয়ে আঘাত করে, ব্যাপক মারধরও করে। শক্তিনগর হাসপাতাল থেকে এনআরএসে ভর্তি করেও শেষরক্ষা হয়নি।”
এই ঘটনার প্রতিবাদে বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ বলেছেন, ‘রাজ্যে প্রতিদিন এভাবে বিজেপি কর্মী খুন হওয়ার ঘটনা অত্যন্ত লজ্জাজনক। এই ঘটনার একটা বিহিত হওয়া দরকার। আমরা রাষ্ট্রপতি শাসন চাইছি। তৃণমূল হচ্ছে দুর্নীতি পরায়ণ একটি দুষ্কৃতির দল। মমতা ব্যানার্জী কেন বিজেপির রক্ত চাইছেন?’