স্বাধীনতা দিবসে জনজাতি সমাজের বিরবাহা হাঁসদাকে অপমান! ভিডিও পোস্ট করে অভিযোগ বিজেপির

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আজ গোটা দেশ পালিত হচ্ছে ৭৬ তম স্বাধীনতা দিবস। একদিকে লালকেল্লা থেকে জাতীয় পতাকার উত্তোলন করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi), আবার বাংলাতেও দুই বছর পর জনসাধারণের উপস্থিতিতে রেড রোডে বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) উপস্থিতিতে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করার পাশাপাশি অন্যান্য একাধিক চমকের সাক্ষী থাকে মানুষ। তবে স্বাধীনতা দিবসের দিনেও বাদ গেলো না রাজনৈতিক বিতর্ক।

সম্প্রতি, বিজেপির পক্ষ থেকে একটি ফেসবুক ভিডিও শেয়ার করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করা হয়েছে, যা ঘিরে ইতিমধ্যে শোরগোল পড়ে গিয়েছে সর্বত্র। উল্লেখ্য, বিগত দুই বছর করোনার কারণে জনসাধারণের উপস্থিতি নিষেধ থাকলেও এ বছর সকলের মাঝে অনুষ্ঠিত হয় ৭৬ তম স্বাধীনতা দিবস। এক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রীকে ‘গার্ড অফ অনার’ দেওয়ার পাশাপাশি আকাশ থেকে হেলিকপ্টারে করে পুষ্প বৃষ্টিও করা হয়।

পরবর্তীতে বাংলার একাধিক পুলিশ কর্মীকে উল্লেখযোগ্য কাজের জন্য সম্মান প্রদান করে সরকার। একই সঙ্গে দুর্গাপুজোর ট্যাবলোর পাশাপাশি সবুজ সাথী, কন্যাশ্রী এবং অন্যান্য একাধিক ট্যাবলোর মাধ্যমে কুচকাওয়াজের অনুষ্ঠান প্রদর্শিত হয়। এর মাঝেই আবার আদিবাসী নৃত্য শিল্পীদের সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পা মেলাতেও দেখা যায়। যদিও বর্তমানে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বেধেছে বিতর্ক।

কিছু সময় পূর্বে বিজেপির পক্ষ থেকে ফেসবুকে একটি ভিডিও শেয়ার করা হয়, যেখানে আদিবাসী নৃত্যশিল্পীদের সঙ্গে পা মেলাতে দেখা গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রীকে। এর মাঝেই ভিডিওতে দেখা যায়, তৃণমূল কংগ্রেস আদিবাসী মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা নাচের সময় মমতার পাশে আসতে চাইলেও তাঁর হাত বাড়াননি মুখ্যমন্ত্রী এবং পরবর্তীতে তিনি অন্যত্র গিয়ে যোগ দেন। এই বিষয়টিকে হাতিয়ার করে বিজেপির বক্তব্য, “মমতা ব্যানার্জী রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী জনজাতি সমাজের প্রতিনিধি হওয়ায় বিরোধিতা করলেন, এবং স্বাধীনতা দিবসের দিনও জনজাতি সমাজের বিরবাহা হাঁসদা’কে সর্বসমক্ষে অপমান করলেন।”

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি দেশে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে বিজেপির পক্ষ থেকে আদিবাসী মহিলা দ্রৌপদী মুর্মুকে প্রার্থী করা হয়। আবার অপরদিকে তৃণমূল কংগ্রেস এবং অন্যান্য বিরোধী দলের তরফ থেকে যশবন্ত সিনহার নাম মনোনীত করা হয়। পরবর্তীতে বিজেপি প্রার্থী জয়লাভ করলেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করে বিজেপি দাবি করতে থাকে, “মমতার আদিবাসী বিরোধী মনোভাবের কারণে উনি দ্রৌপদী মুর্মুকে সমর্থন জানান নি।” এক্ষেত্রে বিরোধীদের এ সকল অভিযোগ উড়িয়ে দেয় ঘাসফুল শিবির। সম্প্রতি তৃণমূল কংগ্রেসের মন্ত্রী পদে জায়গা পান আদিবাসী নেত্রী বীরবাহা হাঁসদা। তবে এদিনকার ঘটনার পর পুনরায় একবার মমতার ‘আদিবাসী বিরোধী’ মনোভাবকে জনসমক্ষে তুলে ধরতে তৎপর হয়ে উঠলো বিজেপি।

ad

Sayan Das

সম্পর্কিত খবর