বাংলা হান্ট ডেস্ক : দরজায় কড়া নাড়ছে লোকসভা নির্বাচন (Lok Sabha Election 2024)। আজকালের মধ্যেই যে কোনও দিন লোকসভা নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষিত হতে পারে বলে সূত্রের খবর। স্বাভাবিকভাবেই তার আগে সরগরম হয়ে রয়েছে রাজ্য রাজনীতি। তার পূর্বেই মঙ্গলবার হাবরার প্রশাসনিক সভা থেকে বিরাট মন্তব্য করে বসলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। মুখ্যমন্ত্রীর মতে, আফগানিস্তান (Afganistan) ভারতের প্রতিবেশী রাষ্ট্র নয়।
এইদিন হাবরার প্রশাসনিক সভা থেকে CAA প্রসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেন, আফগানিস্তান ভারতের সাথে সীমান্ত ভাগ করে না। তা সত্বেও তালিকায় আফগানিস্তানের নাম এল অথচ মায়ানমারের (Miyanmar) নাম এলনা কেন? মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, ‘বিজেপির কাজ হচ্ছে হিন্দুতে হিন্দুতে ভাগ করে দেওয়া। মুসলিমে মুসলিমে ভাগ করে দেওয়া।’
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই মন্তব্যের পর স্বাভাবিকভাবেই তোলপাড় শুরু হয়েছে জাতীয় রাজনীতিতে। ইতিমধ্যেই বিজেপির (BJP) বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ একহাত নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রীকে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ শানিয়ে তিনি বলেন, ‘মুসলিম তোষণ করতে করতে আর কত নীচে নামবেন মমতা? ভোটে জিততে কি উনি দেশটা জেহাদিরে হাতে তুলে দিতে চান?’ তার মতে, তবে কি পাক অধিকৃত কাশ্মীরকে তিনি ভারতের বলে স্বীকার করেননা?
আরও পড়ুন : সাঁড়াশি চাপে নবান্ন, আদালতে বড় জয় DA আন্দোলনকারীদের
শঙ্কর ঘোষের কথায়, ‘মায়ানমার থেকে আসা উদ্বাস্তুদের নাগরিকত্ব দিতে বলে আসলে রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব দিতে বলছেন মমতা। যে রোহিঙ্গাদের ভোট ব্যাঙ্ক বানাতে চান তিনি। যে রোহিঙ্গাদের মায়ানমার থেকে ডেকে এনে বসিরহাটের বিস্তীর্ণ এলাকায় ছড়িয়ে দিয়েছেন মমতার স্নেহধন্য শেখ শাহজাহান। এই মুখ্যমন্ত্রী গোটা দেশেন নিরাপত্তার জন্য বিপজ্জনক।’
আরও পড়ুন : ভোটের মুখে বাম্পার খবর, বেতনক্রম বাড়ছে ৪০%, উপকৃত হবেন পশ্চিমবঙ্গের এই কর্মীরা
Mamata Banerjee, in a statement, claimed that Afghanistan doesn’t share border with India. For a sitting Chief Minister of a border state, who is under oath of the Constitution, to not recognise India’s official border, is not just problematic but seditious. By doing so, she is… pic.twitter.com/m3PqknUn8L
— Amit Malviya (मोदी का परिवार) (@amitmalviya) March 13, 2024
আর এবার এই প্রসঙ্গে মুখ খুললেন বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য। সম্প্রতি তিনি একটি বিবৃতি জারি করে বলেন যে, ‘একটি সীমান্ত রাজ্যের একজন বর্তমান মুখ্যমন্ত্রীর যিনি সংবিধানের শপথ নিয়েছেন, তার ভারতের সরকারী সীমানাকে স্বীকৃতি না দেওয়া কেবল সমস্যাযুক্ত নয়, রাষ্ট্রদ্রোহীতা। এটি করে, তিনি কাশ্মীরের কিছু অংশে পাকিস্তানের অবৈধ দাবিকে বৈধতা দিচ্ছেন। তাকে অবিলম্বে তার বাস্তবিকভাবে ভুল বক্তব্য প্রত্যাহার করতে হবে।’