দলীয় কর্মীর মৃতদেহ নিয়ে রাস্তা অবরোধ বিজেপির, আরও বিপাকে তৃণমূল!

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ খানাকুলে (Khanakul) অস্বস্তি বাড়ছে তৃণমূলের (TMC)। বিজেপি (BJP) নেতা অজয় প্রামানিকের মৃত্যুতে ধুন্ধুমার দশা। এলাকার তৃণমূল নেতাদের হুমকির মুখে পড়েই আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়েছে অজয়। এই অভিযোগ তুলেই বৃহস্পতিবার বিকালে ওই বিজেপি নেতার মৃতদেহ নিয়ে মিছিলে সরব বিজেপি বাহিনী। সন্ধ্যায় খানাকুলের বিজেপি বিধায়ক সুশান্ত ঘোষ ও আরামবাগ সাংগঠনিক জেলা যুব সভাপতি অরিন্দম কর্মকারের নেতৃত্বে দলীয় কর্মীর মৃতদেহ নিয়ে খানাকুল থানা মোড় অবরোধ বিক্ষোভ করে বিজেপি। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ক্রমশ্যই বাড়ছে রাজনৈতিক তরজা।

ঠিক কী হয়েছিল? সালটা ছিল ২০২০। আর দিনটি ছিল ১৫ অগাস্ট। স্বাধীনতা দিবসের দিন জাতীয় পতাকা তুলতে গিয়ে দুস্কৃতীদের হাতে নির্মমভাবে প্রাণ যায় খানাকুলের বিজেপি নেতা (BJP Leader) সুদর্শন প্রামানিকের। এরপর থেকেই সরব বিজেপি। তাদের অভিযোগ, এ ঘটনার পেছনে হাত রয়েছে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের।

বিজেপির আরও অভিযোগ, এই ঘটনার পর থেকেই ওই বিজেপি কর্মী সুদর্শন প্রামানিকের ভাইপো অজয় প্রামানিক ও তাঁর পরিবারকে হুমকি দিতে থাকে শাসকদলের লোকজন। তবে বিপত্তি ঘটে অন্য জায়গায়। জানা যায় এরই মাঝে ওই পাড়ায় রাজিনৈতিক হিংসায় মৃত্যু হয় তৃণমূল নেতা দেবু প্রামানিকের। তারপর কেটে গেছে প্রায় ২ বছর।ধরে
নিজের পরিবার নিয়ে হাওড়ার মুন্সিরহাটে থাকতে শুরু করেন অজয়।

তবে এখানেই শেষ নয়, অজয়ের পরিবারের অভিযোগ এলাকা ছাড়লেও তাঁকে নিয়মিত হুমকি দিতে থাকে খানাকুলের তৃণমূল নেতারা। এরই মাঝে বুধবার কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন অজয়। ভর্তি করা হয় হাওড়ার আমতার একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে। বুধবার বিকালে সেখানেই মৃত্যু হয় অজয়ের। পরিবারের অভিযোগ, ক্রমাগত তৃণমূলের দেওয়া হুমকি চাপ সহ্য করতে না পেরেই এই পথ বেছে নিয়েছেন অজয়।

bjp tmc

এরপর থেকেই গোটা এই ঘটনা নিয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে সরব বিজেপি বাহিনী। তৃণমূলের বিরুদ্ধে তোপ দেগে খানাকুলের বিজেপি বিধায়ক সুশান্ত ঘোষের মন্তব্য “তৃণমূল নেতাদের অত্যাচারে বাধ্য হয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন অজয় প্রামাণিক। পুলিশ-প্রশাসন এ ঘটনায় কোনও সঠিক ব্যবস্থা নিচ্ছে না। সে কারণেই আমাদের পথে নামতে হয়েছে। বাধ্য হয়েই রাস্তা অবরোধ করছি।”

অন্যদিকে, বিজেপির অভিযোগ মানতে নারাজ শাসকদল। পাল্টা খানাকুলের তৃণমূল নেতা অনুপ মাইতির দাবি, “প্রেমঘটিত কারণেই আত্মহত্যা করেছেন অজয়। তাঁর মৃত্যুতে অযথা রাজনীতির রং দিয়ে এলাকায় উত্তেজনা সৃষ্টির চেষ্টা করছে বিজেপি। তবে তাতে কিছু লাভ হবে না।”


Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর