বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গত বিধানসভা নির্বাচনে শোচনীয় হার, পরবর্তীতে উপনির্বাচনগুলিতে অপ্রত্যাশিত ফলের পাশাপাশি দলের ভেতর কোন্দল! সব মিলিয়ে বর্তমানে বিজেপি (BJP) দলের পরিস্থিতি ক্রমশ তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে লোকসভা নির্বাচনের পূর্বে বঙ্গে পুনরায় নিজেদের শক্তি বৃদ্ধি করতে শাহ ঘনিষ্ঠ বিজেপি নেতা সুনীল বনশলকে (Sunil Banshal) নিয়োগ করেছে কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতৃত্ব। বর্তমানে তাঁর হাত ধরেই ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া পদ্মফুল শিবির। বিশেষজ্ঞদের মতে, বর্তমানে একের পর এক দুর্নীতি ইস্যুকে কেন্দ্র করে তৃণমূল কংগ্রেসকে (Trinamool Congress) ক্রমশ কোণঠাসা করতে চাইছে BJP। সেই উদ্দেশ্যে গোটা বাংলায় দুর্নীতির প্রতিবাদে আগামী ৭ ই সেপ্টেম্বর নবান্ন অভিযান করবে তারা। এদিন সুকান্ত মজুমদার নবান্ন অভিযানের ডাক দিলেও তাদের সেই অভিযান সফল হবে না বলেই পাল্টা দিয়েছে তৃণমূল।
উল্লেখ্য, বর্তমানে দুর্নীতি মামলায় ক্রমশ জেরবার তৃণমূল। এসএসসি মামলায় প্রথমে ইডির হাতে গ্রেফতার হন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এর মাঝে গতকাল আবার সিবিআই গ্রেফতার করেছে বীরভূমের জেলা সভাপতি অনুভূত মণ্ডলকে। ফলে সব মিলিয়ে একের পর এক দুর্নীতি ইস্যুকে কেন্দ্র করে যখন দেওয়ালে পিঠ থেকে চলেছে শাসক দলের, সেই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে নিজেদের পুরানো অবস্থান ফিরে পেতে মরিয়া বিজেপি। গতকাল অনুব্রত মণ্ডলের গ্রেফতারির পরই বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে ঢাক বাজানোর পাশাপাশি গুড় ও বাতাসা বিতরণ করে তারা আর এদিন অবশেষে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগের দাবিতে নবান্ন অভিযানে ডাক দিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। আগামী ৭ ই সেপ্টেম্বর বিজেপি অভিযান করতে চলেছে বলে খবর।
বিশেষজ্ঞদের মতে, তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ইস্যুকে হাতিয়ার করে বাংলায় ফের একবার শক্তি বৃদ্ধি করতে মরিয়া বিজেপি। তবে এর পাল্টাও দিয়েছে তৃণমূল। এদিন প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদীর পদত্যাগের দাবি তুলে তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন বলেন, “নবান্ন অভিযানের যে কর্মসূচি নিয়েছে বিজেপি, তা কখনোই সফল হবে না।”