বাংলাহান্ট ডেস্কঃ একুশের নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে রাজনৈতিক তর্জা ততই বৃদ্ধি পাচ্ছে। রাজনীতির মঞ্চে সুব্রত মুখোপাধ্যায় (subrata mukherjee) বনাম জয়প্রকাশ মজুমদার (Jay Prakash Majumder) জমে উঠল অভিযোগের পাল্টা প্রতিক্রিয়া। শনিবার গতকাল উত্তর ২৪ পরগনার হালিশহরে এক বিজেপির বুথ সভাপতি সৈকত ভাওয়ালের খুনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত রাজনৈতিক মহল।
বিজেপির তরফ থেকে অভিযোগ করছে, গতকাল সন্ধ্যায় হালিশহরের সৈকত ভাওয়াল এবং আরও বেশ কয়েকজন হালিশহরের বারেন্দ্র গলিতে গৃহসম্পর্ক অভিযানে গিয়েছিলেন। সেখানে আচমকাই তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তাদের উপর হামলা চালিয়ে বিজেপির বুথ সভাপতিকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে কোপাতে থাকে। আহত হয় বেশ কয়েকজন।
কল্যাণীর জেএনএম হাসপাতালে গুরুতর আহত অবস্থায় সৈকত ভাওয়ালকে নিয়ে গেলে, চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করে। এরপর থেকেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে রাজনৈতিক চাপানউতোর। তৃণমূলের অভিযোগ বিজেপির গোষ্ঠী দ্বন্ধের জেরেই এই ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু পাল্টা অভিযোগ করে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ স্যোশাল মিডিয়ায় লিখেছেন, বাংলায় বিধানসভা নির্বাচন যে কতটা রক্তাক্ত আর ভয়াবহ হতে চলেছে, হালিশহরে সৈকত ভাওয়ালের নৃশংস মৃত্যু তারই ইঙ্গিত দিল।
এইদিনই আবার জীবনতলার সভা থেকে পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের গলায় শোনা যায়, ‘মমতা আমেরিকায় গেলেও তাঁর পায়ে হাওয়াই চপ্পল আর পরনে তাঁতের শাড়ি থাকে। সারাটা জীবন মানুষের জন্য বিলিয়ে দিল, সংসার ধর্ম করল না। তারপরও দেখুন দিল্লী সরকার এবং বিজেপি তাঁকে নানাভাবে আক্রমণ করে চলেছে। তবে যদি কোন দিনও শুনি যে বিজেপি গণতান্ত্রিক ভাবে না জিততে পেরে মমতা ব্যানার্জীকে খুন করেছে, তাহলেও আমি অবাক হব না’।
পঞ্চায়েতমন্ত্রীর এই কথার পাল্টা জবাব দিয়ে হালিশহরের ঘটনাকে উদাহরণ হিসাবে দাঁড় করিয়ে জবাব জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, ‘বিজেপির নামে কিছু বলার আগে এটা জেনে নেওয়া প্রয়োজন যে বিজেপি কখনই খুনের রাজনীতিতে বিশ্বাসী নয়। হালিশহরে বিজেপি কর্মীকে পিটিয়ে খুন করার ঘটনাতেই বোঝা যায়, তৃণমূলই খুনের রাজনীতি করে বাংলায় অশান্তি পাকানোর চেষ্টা করছে’।