বাংলা হান্ট ডেস্কঃ চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূলের হাত ছেড়ে বিজেপিতে (BJP) যোগ দিয়েছেন উত্তর কলকাতার দাপুটে রাজনীতিক তাপস রায় (Tapas Roy)। বরানগরের বিধায়ক পদ থেকেও সরে দাঁড়িয়েছেন তিনি। আসন্ন ভোটে কলকাতা উত্তর কেন্দ্র থেকে তাঁকে দাঁড় করিয়েছে গেরুয়া শিবির। এবার সেই তাপসই রোজভ্যালি কাণ্ড (Rose Valley Case) নিয়ে ‘অ্যাকশন’ নেওয়ার কথা ঘোষণা করলেন।
সোমবার সাংবাদিক সম্মেলনে বিজেপি নেতা বলেন, রোজভ্যালি কাণ্ডে কলকাতা উত্তরের বিদায়ী সাংসদ তথা তৃণমূল (TMC) প্রার্থী সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় (Sudip Banerjee) এবং শ্রেয়া পাণ্ডের (Shreya Pande) বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে চিঠি দিতে চলেছেন তিনি। দু’জনের বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগড়ে কলকাতা উত্তরের পদ্ম প্রার্থী বলেন, ‘আজ না হলে কালই রোজভ্যালি কাণ্ডে দুর্নীতির অভিযোগে আমি চিঠি দেব’।
পয়লা বৈশাখের দিন নির্বাচনী প্রচারে বেরিয়ে বাধার সম্মুখীন হয়েছিলেন তাপস। তাঁকে কালো পতাকা দেখানোর পাশাপাশি গো ব্যাক স্লোগানও দেওয়া হয়। আজ সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিজেপি প্রার্থী বলেন, ‘রবিবার, নববর্ষের দিন মানিকতলা থানার সামনে থেকে আমার প্রচার শুরু হয়। সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং শ্রেয়া পাণ্ডের অনুগামীরা পরিকল্পনামাফিক আমার প্রচার গাড়ির সামনে শুয়ে পড়ে। আমায় কালো পতাকা দেখানো হয়। গো ব্যাক স্লোগানও দেওয়া হতে থাকে’।
আরও পড়ুনঃ BJP-তে আসতে চেয়েছিলেন তৃণমূলের এই মন্ত্রী! এবার নাম ফাঁস করে শোরগোল ফেললেন শুভেন্দু
এখানেই না থেমে বরানগরের প্রাক্তন বিধায়ক দাবি করেন, পরাজয় নিশ্চিত জেনেই এই পন্থা বেছে নিয়েছেন কলকাতা উত্তরের বিদায়ী সাংসদ সুদীপ। তাপসের কথায়, ‘আসলে হার নিশ্চত জেনে নাতনির বয়সী শ্রেয়ার ভরসায় এসব করছেন সুদীপবাবু। মানিকতলার ঐতিহ্যের সঙ্গে এসব যায় না’।
আজ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘পরজীবী রাজনীতিক’ বলেও আক্রমণ করেন কলকাতা উত্তরের বিজেপি প্রার্থী। তিনি বলেন, তৃণমূল নেতার কোনও রাজনৈতিক লড়াই নেই। যিনি যখন ক্ষমতায় থেকেছেন, তাঁকে ধরে রাজনীতির মঞ্চে উঠে এসেছেন। কখনও সেই ব্যক্তিত্বের নাম প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সি, কখনও আবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এনাদের মতো প্রভাবশালী ব্যক্তিত্বদের ধরেই রাজনীতির দুনিয়ায় প্রাসঙ্গিক থাকার চেষ্টা করেছেন সুদীপ।
অন্যদিকে শ্রেয়াকেও এদিন আক্রমণ করেন তাপস। বিজেপি নেতার দাবি, জেলা সভাপতি পদে আসীন থাকাকালীন শ্রেয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ শুনতে শুনতে একপ্রকার অস্থির হয়ে উঠেছিলেন তিনি। মানিকতলা এলাকার পুরনো তৃণমূল কর্মীদের শ্রেয়া ‘নাকাল’ করে তুলেছিলেন বলেও দাবি করেন তাপস।