বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বিগত কিছুমাস ধরে নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে ধুন্ধুমার রাজ্যে। জেলবন্দি রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় থেকে শুরু করে শাসকদলের বহু নেতা। অন্যদিকে, বুধবার কেন্দ্রের মোদী সরকারের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ, বিভিন্ন কেন্দ্রীয় প্রকল্পের বরাদ্দ অর্থের দাবি নিয়ে আম্বেদকর মূর্তির পাদদেশে দুদিনের ধর্নায় বসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। কেন্দ্র সরকারের বিরুদ্ধে সুর চড়ানোর পাশাপাশি নাম না করে বুধবারই তোপ দাগেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীরকেও (Suvendu Adhikari)৷
প্রশ্ন তুলে মুখ্যমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর শাস্তির দাবি জানিয়েছিলেন। এবার বিরোধী দলনেতার শাস্তির বিষয়ে মুখ খুললেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)৷ ঠিক কী বললেন নেতা? বৃহস্পতিবার এই প্রসঙ্গে ঘোষবাবুকে প্রশ্ন করা হলে কিছুটা ভিন্ন ভাবে উত্তর দিয়ে তিনি বলেন, ‘‘ওনারা কোর্টে যান। কে বারণ করেছে।”
তবে দিলীপবাবুর কথায়, “শুভেন্দুর শাস্তির আগে তো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে শাস্তি পেতে হবে। উনি দ্রৌপদী মুর্মু নিয়ে কি বলেছেন? রাজ্যপাল নিয়ে কি বলেছেন? তিনি প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী, নাড্ডাজিকে কি বলেছেন? তারা যেন আমাদের কালচার শেখাতে না আসে!’’
তৃণমূল সুপ্রিমোর ধর্না মঞ্চ নিয়েও আক্রমণ শানান তিনি। বলেন, ‘‘এবারই তো দিল্লিতে ধর্না দিতে চেয়েছিলেন। যাননি। কারণ ওনার সঙ্গে কেউ নেই। কেউ আসবে না। একা বসতে হবে রাস্তায়।’’ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশ্যে প্রশ্ন তুলেছেন, ‘‘ডায়লগ দিচ্ছেন বড় বড়?’’
নেতার কথায়, ‘‘এখন দৌড় কলকাতায় সীমাবদ্ধ। গোয়া, আসাম, ত্রিপুরা সব হয়ে গেছে! লোকও তৃণমূলকে চিনে গেছে। কত বড় দুর্নীতিগ্রস্ত পার্টি। হিংসার রাজনীতি। সারা দেশে কেউ পাশে নেই। যেভাবে রাজ্য জুড়ে ধর্না আন্দোলন চলছে। কারুর অধিকার নেই। জঙ্গলমহল, মতুযা, রাজবংশী কেউ পাশে নেই। বাকি ছিল সংখ্যালঘুরা। তারাও বালিগঞ্জ আর সাগরদিঘিতে বুঝিয়ে দিয়েছে। উনি বুঝে গেছেন সারা দেশ পাশে নেই। পশ্চিমবঙ্গও নেই।’’