বাংলা হান্ট ডেস্কঃ মিটে গিয়েছে পঞ্চায়েত ভোট (Panchayat Vote)। সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ফের গ্রামবাংলার দখল গিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের (Trinamool Congress) হাতে। বর্তমানে চলছে পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন পক্রিয়া। বুধবার ছিল নদিয়ায় (Nadia) রানাঘাট দক্ষিণ জেলার বোর্ড গঠনের প্রথম দিন। আর এদিনই বেজায় অস্বস্তিতে শাসকদল। বাজিমাত করল গেরুয়া শিবির (Bharatiya Janata Party)।
কি এমন হল? নবদ্বীপ জোয়ানীয়া বহিরগাছি এবং রামনগর ১ বোর্ড গঠন করে বিজেপি। যদিও এর মধ্যে প্রথম দুটিতে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলেও রামনগর ওয়ানের ক্ষেত্রে দুই নির্দল প্রার্থীকে দলে যোগদান করিয়ে বোর্ড গঠন করে গেরুয়া শিবির। চারিদিকে বিজেপির জয়জয়কার। দীর্ঘ ২০ বছর পর রামনগর বিজেপির দখলে আসায় স্বাভাবিকভাবেই উচ্ছ্বসিত দলের নেতা-কর্মী সকলে।
অন্যদিকে তিনটি পঞ্চায়েতই হাতছাড়া হল তৃণমূলের। তবে নদীয়া দক্ষিণের হবিবপুর পঞ্চায়েতে, দখল রাখলো তৃণমূল। সেখানে ঘাসফুলের দাপট অব্যাহত। যদিও বিজেপির অভিযোগ, ওপেন ভোট করানোর ফলে নির্দল প্রার্থীরা তাদের সমর্থন করতে ভয় পেয়েছে শাসকদলের সামনে।
আরও পড়ুন: ‘বিচারপতি গাঙ্গুলিই তো চাকরি দিয়েছিলেন, CBI ডাকছে, মানেটা…’, বোমা ফাটালেন কুণাল ঘোষ
তবে ২৬ সদস্য বিশিষ্ট বহিরগাছিতে বিজেপির ১৭ জন, তৃণমূলের ৭ জন, একজন কংগ্রেস এবং একজন নির্দলের জয়ী প্রার্থী ছিলেন। এখানে প্রধান হন বিজেপির ক্রিয়া ভদ্র এবং উপপ্রধান হন বিজেপির চিন্ময় সরকার।
পাশাপাশি ২০ আসন বিশিষ্ট রামনগর ওয়ানের ক্ষেত্রে, তৃণমূল এবং বিজেপি উভয়েই ৯টি করে আসন পায়। তবে সম্প্রতি দুজন নির্দল জয়ী প্রার্থী বিজেপিতে যোগদান করার পর বোর্ড সুনিশ্চিত করে অরেঞ্জ বাহিনী। সে ক্ষেত্রে প্রধান হন নির্দল থেকে আসা তাপসী আঢ্য, অন্যদিকে উপপ্রধান হন বিজেপির শিবু মন্ডল।