বাংলাহান্ট ডেস্কঃ বিজেপির (bjp) সংখ্যালঘু মোর্চার নবনির্বাচিত জাতীয় সহ-সভাপতি হলেন মুফতি আবদুল ওহাব কাসমি (mufti abdul wahab qasmi)। ১৯৯৯ সালে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন ওহাব কাসমি। কিন্তু সেইসময় বিজেপিতে যোগ দেওয়ার কারণে তাঁকে নানা সমালোচনার সম্মুখীন হতে হয়েছিল। এমনকি সমাজ এবং আত্মীয় স্বজনের তীব্র ভর্তসনার সম্মুখীনও হতে হয়েছিল তাঁকে।
সমাজ তাঁকে বয়কট করে সমর্থন না করলেও, একাই লড়াই জারি রাখেন ওহাব কাসমি। দিন রাত এক করে বিজেপির হয়ে কাজ করে গেছেন তিনি। তবে এই যাত্রাপথ তাঁর সহজ ছিল না। তবে এই পরিশ্রমী নেতাকে কিন্তু ভোলেনি বিজেপি। বিহারে রাজনৈতিক সাফল্যের পরবর্তীতে বিজেপির সংখ্যালঘু মোর্চার নবনির্বাচিত জাতীয় সহ-সভাপতি হিসেবে নিযুক্ত করা হয় মুফতি আবদুল ওহাব কাসমিকে।
আজকের দিনে এই সাফল্য লাভের পর আরারিয়া জেলার জোকিহাট থানার দুবা গ্রামের বাসিন্দা ওহাব কাসমি জানিয়েছেন, ‘আমি কৃতজ্ঞতা জানাব আরিয়ার বিজেপির জেলা সহ-সভাপতি প্রদীপ ঝাকে, যিনি প্রথমে আমাকে বিজেপির সদস্যপদ দিয়েছিলেন’। তিনি প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ী এবং বিহারের শিল্পমন্ত্রী শাহনওয়াজ হুসেনের দ্বারা প্রভাবিত হয়েই বিজেপিতে যোগাদন করেছিলেন। তাঁর জীবনের একটাই লক্ষ্য, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সবকা সাথ-সবকা বিকাশের মাধ্যমে দলের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করা।
তিনি আরও জানান, তিনি যখন বিজেপির সঙ্গে কাজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, তখন তাঁকে সমাজের অনেক কড়া নিন্দার মুখোমুখী হতে হয়েছিল। এমনকি বিভিন্ন অনুষ্ঠান উৎসব থেকেও তাঁকে বাদ রাখা হত বলে জানান তিনি। সমাজ তাঁকে বহিস্কার করলেও, তিনি নিজের লক্ষ্যে স্থির ছিল বলেই জানিয়েছেন।
সম্প্রতি দিনে তিনি বিহার, রাজস্থান ও উত্তরপ্রদেশে নির্বাচনে অনেক গুরু দায়িত্ব পালন করেছেন। এমনকি লোকসভা নির্বাচনের সময়, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিং, নিত্যানন্দ রায়, অশ্বিনী চৌবেয়ের মত নেতৃত্বের রাজনৈতিক জয়ও নিশ্চিত করেছিলেন।