দলের অভ্যন্তরীণ সমীক্ষায় এগিয়ে বিজেপি, নির্বাচনের আগে চিন্তায় শাসক দল

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ একুশের নির্বাচনে ২০০ টি আসনের লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ। এর আগে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি থাকাকালীন লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যে ২০ টি আসনের লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দিয়েছিলেন তিনি। ২০১৯ এর নির্বাচনের বিজেপি পশ্চিমবঙ্গ থেকে ২০ টি আসন না পেলেও ১৮ টি আসন পেয়ে সবাইকে চমক দিয়েছিল। এবার এরথেকে বড়সড় কিছু চমক দেওয়ার আশায় রয়েছে গেরুয়া শিবির।

রাজ্যের নির্বাচনের পরিস্থিতি আর ভোটারদের মনোভাব খতিয়ে দেখতে বিজেপির তরফ থেকে একটি টিম গড়া হয়েছিল। তাঁদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল জেলায় জেলায় ঘুরে মানুষের মনোভাব জেনে একটি রিপোর্ট তৈরি করা। সেই রিপোর্টেই বোঝা যাবে যে আসন্ন নির্বাচনে ঠিক কতটা এগিয়ে তাঁরা। অভ্যন্তরীণ সেই সমীক্ষায় অমিত শাহের বেঁধে দেওয়া লক্ষ্য থেকে খানিক দূরেই রয়েছে বিজেপি। আগামী ৩০ জানুয়ারি অমিত শাহ রাজ্যে আসলে ওনার হাতে এই সমীক্ষার রিপোর্ট তুলে দেওয়া হবে।

তবে অমিত শাহের আগে রাজ্যে আবারও আসছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। প্রথমে ওনাকে ওই সমীক্ষার রিপোর্ট দেওয়া হবে, এরপর তিনি শিলমোহর দিলেই ওই রিপোর্ট পাঠানো হবে অমিত শাহের কাছে। বিজেপির অভ্যন্তরীণ সমীক্ষা অনুযায়ী, লোকসভা ভোটের নিরিখে এই মুহূর্তে রাজ্যে ১৫০-১৬০ টি আসনে এগিয়ে আছে তাঁরা। ২৯৪ টি আসন বিশিষ্ট পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় ম্যাজিক ফিগার সংখ্যা হল ১৪৮।

রাজ্যকে পাঁচটি ভাগে ভাগ কর নির্বাচনে লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিয়েছে বিজেপি। উত্তরবঙ্গ, দক্ষিণ বঙ্গের কয়েকটি করে জেলা নিয়ে একটি করে জোন বানিয়েছে বিজেপি। এভাবেই প্রতিটি জোনে জনতার মুড, সরকারের প্রতি অনাস্থা এবং বিভিন্ন ইস্যুতে সমীক্ষা চালিয়েছে বিজেপি। সেই সমীক্ষার নিরিখেই ১৫০-১৬০ টি আসনে এগিয়ে আছে বলে জানিয়েছে তাঁরা।

বিজেপির নেতাদের মতে, নির্বাচন শুরু হওয়ার আগে রাজ্যে দলকে শক্তিশালী করতে আরও বেশি করে ঝাঁপিয়ে পড়বে তাঁরা। আর অমিত শাহ, নরেন্দ্র মোদী এবং যোগী আদিত্যনাথের মতো নেতা রাজ্যে নির্বাচনী প্রচারে আসলে বিজেপির আসন সংখ্যা আরও বাড়বে বলে মত রাজ্যের নেতাদের। বিজেপির অভ্যন্তরীণ সমীক্ষার রিপোর্ট সামনে আসতেই চিন্তা বেড়েছে শাসকদলে।


Koushik Dutta

সম্পর্কিত খবর