বাংলা হান্ট ডেস্ক: বঙ্গ বিজেপি নেতাদের তীব্র কটাক্ষ করেছিলেন তিনি। সম্প্রতি বলেছিলেন, বর্তমানে বঙ্গ বিজেপির কোনও পদ পাওয়া মানে নেতৃত্বের চাকর হয়ে থাকা। এবার সেই অনুপম হাজরাকে (Anupam Hazra) দেখা গেল তৃণমূলের (TMC) অবস্থান মঞ্চের সামনে। গোটা ঘটনায় অস্বস্তিতে গেরুয়া শিবির।
এদিকে বিশ্বভারতীর ফলক বিতর্ক নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে অশান্তি জারি রয়েছে। শান্তিনিকেতনের (Shantiniketan) কবিগুরু মার্কেটে ১২ দিন ধরে অবস্থান করছে তৃণমূল কংগ্রেস। আর সেখানেই মঙ্গলবার হঠাৎই হাজির হলেন বিজেপির (BJP) কেন্দ্রীয় নেতা অনুপম হাজরা। সেখানে গিয়ে প্রথমেই রবীন্দ্র মূর্তিতে মাল্যদান করেন তিনি। এরপরই তৃণমূলের নেতা কর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন বিজেপি নেতা।
এই প্রসঙ্গে অনুপম হাজরা বলেন, ‘উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী নিজেকে বিজেপি প্রমাণ করার জন্য বারবার রবীন্দ্রনাথকে অপমান করেছেন। আগামিকাল অর্থাৎ ৮ তারিখ বিশ্বভারতীর (Viswa Bharati) উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর (Bidyut Chakraborty) সময়সীমা শেষ হচ্ছে। তাঁর মেয়াদ বৃদ্ধি হবে না। এই উপাচার্য হলেন ভণ্ড ভিসি। ইনি চেষ্টা করছেন বিজেপি সাজার। বিজেপি হওয়ার নাটক করেন, যাতে ওনার মেয়াদকাল বাড়ে। উনি বিদ্যুৎ নন, উনি বিশ্বভারতীর বুকে বজ্রবিদ্যুৎ। উনি যখন থেকে এসেছেন শান্তিনিকেতনের পৌষমেলা বন্ধ হয়েছে। শান্তিনিকেতনের মানুষ বিরক্ত। বসন্ত উৎসব বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। উনি নিজেই বহিরাগত। শান্তিনিকেতন সম্পর্কে ওনার কোনও আইডিয়া নেই। বোলপুরের মানুষের সেন্টিমেন্ট উনি বোঝেন না। ‘ এই পাশাপাশি অনুপম জানান, উপাচার্য যাওয়ার পর শান্তিনিকেতনকে গোবর জল দিয়ে শুদ্ধিকরণ করে পরিষ্কার করা হবে।
কিন্তু মঙ্গলবার তৃণমূলের অবস্থান মঞ্চের সামনে অনুপম হাজরার উপস্থিত থাকা নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে তোলপাড় শুরু হয়েছে। শুরু হয়েছে জল্পনাও। তাহলে কি লোকসভা ভোটের আগে ঘর-ওয়াপসি হতে চলেছে অনুপমের? প্রশ্ন উঠছে। তবে এদিন তিনি দাবি করেন, রবীন্দ্রনাথ কারওর একার নয়। রবীন্দ্রনাথকে মুছে ফেলার প্রচেষ্টায় আঘাতপ্রাপ্ত শান্তিনিকেতন, বোলপুরের সকল মানুষ।’