বাংলা হান্ট ডেস্ক : ফের একবার প্রকাশ্যে বিজেপির (BJP) গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। দলের বিরুদ্ধে সুর চড়ালেন বীরভূমের বিজেপি নেতা অনুপম হাজরা (Anupam Hazra)। উল্লেখ্য, বিজেপিতে তেমন গুরুত্বপূর্ণ পদ না হলেও অনুপম হাজরা দলের সর্বভারতীয় সম্পাদকদের অন্যতম। আর এবার তার গলাতেই শোনা গেল বিদ্রোহের সুর। অনুপমের কথায়, প্রতিষ্ঠিত চোর ও দুর্নীতিগ্রস্তদের দলের বিভিন্ন পদে বসিয়ে রাখা হয়েছে।
যদিও এটাই প্রথম নয়। এর আগেও একাধিকবার দলে থেকেই দলের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন তিনি। আর এবার তো রীতিমত বিষ্ফোরণ ঘটালেন তিনি। বিজেপি নেতার কথায়, বছরের পর বছর চোর ও দুর্নীতিগ্রস্ত মানুষরা বসে রয়েছে দলের গুরুত্বপূর্ণ সব পদে। সেই সাথে তার প্রশ্ন, দলের মধ্যে এত বেনোজল ঢুকে থাকলে তৃণমূলকে চোর বলার অধিকার আর থাকে কী?
তবে এখানেই থেমে থাকেননি তিনি। অনুপম বলেন, তার এই পোস্ট দেখে সাধারণ মানুষের আদিখ্যেতা মনে হলেও তার কাছে আর কোনও উপায় নেই। কারণ পার্টির মধ্যে নাকি এই বিষয়ে গলা তোলার কোনও উপায়ই নেই। অনুপমের কথায়, ‘বিজেপির কোনও মিটিংয়ে তো ডাকা হয় না বা বারবার ডাকা সত্বেও শোনা হয় না।’
আরও পড়ুন : তারাপীঠ মন্দিরে জারি হল চরম নিষেধাজ্ঞা, মায়ের দর্শনে যাওয়ার আগে না জানলেই পড়বেন বিপদে
যদিও অনুমপ কারও নাম মুখে আনেননি। তবে এইদিন বিজেপি নেতা ধ্রুব সাহার বিরুদ্ধে একটি পোস্টার পড়েছে। যেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, ধ্রুব সাহা দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত। তার বিরুদ্ধে কেন তদন্ত হবে না? তবে রাজনৈতিক মহলের ধারণা, অনুপমের এই পোস্ট মূলত ধ্রুব সাহাকে কটাক্ষ করেই। তবে তার থেকেও বড় প্রশ্ন, বিজেপি নেতার এই পোস্টের পর দল কি কোনও ব্যবস্থা নেবে? নাকি তার অভিযোগ নিয়ে কোনও কাটাছেঁড়া করবে দল?
আরও পড়ুন: ‘আদিনা মসজিদের তলাতেই আদিনাথ মন্দির’, স্বীকারোক্তি সরকারের! বিতর্ক উসকে দিলেন বিজেপি নেতা
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, একদিন আগেও ফেসবুকে এমনই একটি লেখা পোস্ট করেছিলেন অনুপম। এইদিন তিনি লেখেন, ‘কোণঠাসাদের উজ্জীবিত করা দলের পক্ষে ক্ষতিকারক? তাহলে কি পার্টিকে বিক্রি করে, নিজের পকেট গরম করা বা পার্টিতে থেকে চুরি করাটা শৃঙ্খলা রক্ষার মধ্যে পড়ে? আর এটা নিয়ে আওয়াজ তুললেই শৃঙ্খলাভঙ্গ হয়?’ সরাসরি যদিও কারও নাম মুখে আনলেও অনুমপের এই মন্তব্য ঘিরে শুরু হয়েছে জল্পনা।