বাংলা হান্ট ডেস্কঃ পঞ্চায়েত ভোট পূর্বে রাজ্য জুড়ে একের পর এক বিস্ফোরণ। গতকাল এগরার (Egra Blast) বাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণে এখনও পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন ৯ জন, আহতরা হাসপাতালে পাঞ্জা লড়ছেন মৃত্যুর সঙ্গে। অন্যদিকে, কিভাবে প্রশাসনের নাকের ডগায় চলছিল অবৈধ বাজির কারবার সেই নিয়ে উঠছে হাজারো প্রশ্ন, শুরু রাজনৈতিক তরজা। এই এই প্রসঙ্গেই তৃণমূল সরকার ও শাসকদলকে (Trinamool Congress) আক্রমণ শানালেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)।
বুধবার সকালে দিল্লি যাওয়ার আগে বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন দিলীপ ঘোষ। সেখানেই রাজ্য সরকারকে নিশানা করে তিনি বলেন, ‘একাধিক জায়গায় বিস্ফোরণ আগেও হয়েছে। আমি এর মধ্যে কয়েকটা জায়গায় গেছি। সাত আট বছর আগে পিংলায় একই ঘটনা ঘটেছিল। বডিগুলো ছিন্ন ভিন্ন হয়ে গিয়েছিল। এবারও তাই হল। প্রায় ২২ জন ওখানে কাজ করছিল। তারা নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছে। কজনকে পাওয়া গিয়েছে, কজনকে পাওয়া যায়নি, নিশ্চিত নয়’।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে একহাত নিয়ে তিনি বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী বলছেন, সেখানে বিজেপির পঞ্চায়েত। আগে তো ওনাদের পঞ্চায়েত ছিল। মানুষ ক্ষেপে পঞ্চায়েত ভেঙেছে, এখন সেখানে নির্দল পঞ্চায়েত প্রধান। এই সমাজবিরোধী ও দেশ বিরোধি কাজ, এখানে পুলিশও কোথাও না কোথাও যুক্ত। নাহলে কমপ্লেন করার পরেও পুলিশ কিছু করে না কেন? তার মানে পুলিশের ওপর পলিটিক্যাল প্রেসার আছে। সেজন্যই পুলিশ আজ আক্রমণের শিকার’।
গতকালের ঘটনায় বিজেপি এনআইএ তদন্তের দাবি তুললে মুখ্যমন্ত্রীও তাতে কোনো আপত্তি নেই বলে জানান। এই প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘ঠেলায় পড়লে বিড়ালও গাছে ওঠে। মুখ্যমন্ত্রী জানেন, এটা নিয়ে কেউ না কেউ কোর্টে যাবে। কোর্ট সঙ্গে সঙ্গে NIA তদন্তের আদেশ দেবেই। তাই কানমোলা খাওয়ার আগে NIA হলে আপত্তি নেই বলেছেন। যদি উনি সত্যিই চান, তাহলে নিজে থেকে NIA তদন্ত চাইছেন না কেন? ওনার তো কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীকে চিঠি লেখা উচিৎ, যে এর তদন্ত হওয়া উচিৎ’।
পুলিশ আক্রমণের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “পুলিশ কি এতোটাই অকম্মা? একসময় এখানকার পুলিশের সুনাম ছিল। এখনও অনেক ভালো, যোগ্য অফিসার আছেন। আমার মনে হয় তৃণমূল কংগ্রেস পুলিসকে কাজ করতে দিচ্ছে না। সমাজবিরোধীদের শেল্টার দিচ্ছে। পুলিশকে চুপ করে দেখতে হচ্ছে। আর শেষে তাদেরকেই আক্রমণের শিকার হতে হচ্ছে’।
তার সংযোজন, “পুলিশের প্রতি মানুষের এই ক্ষোভের যৌক্তিকতা আছে। আপনি হয়তো বলবেন, আমি এটাকে সমর্থন করছি। সমর্থনের কথা না। প্রশ্ন হল কেন বারবার পুলিশের এই গাফিলতি? এত এত অভিযোগ। কটা এফআইআর? কটা গ্রেফতার? কটা শাস্তি? প্রতি সপ্তাহে বোমা ফাটছে, বন্দুক বেরোচ্ছে। আপনারা খবর করছেন। পুলিশ কি কিছু করছে? তাই দুষ্কৃতিদের সাহস বেড়ে যাচ্ছে। আর নিরীহ মানুষ প্রাণ হারাচ্ছেন।”