‘‌উনি আমাদের মধ্যে নেই…’, পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে একি বললেন হিরণ! শোরগোল রাজ্যে

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে লড়তে দেখা যাবে হিরণ চট্টোপাধ্যায়কে (Hiran Chatterjee)। ঘাটাল কেন্দ্রের পদ্ম-প্রার্থী তিনি। হিরণ অবশ্য বিজেপির (BJP) বিধায়কও। একসময় তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে ছিলেন। এখন পাকাপাকিভাবে পদ্ম-শিবিরের অংশ। শনিবার প্রকাশিত বিজেপির প্রার্থী তালিকায় নিজের নাম দেখে নিঃসন্দেহে খুশি হয়েছেন তিনি। বিধায়ক পদের পর এবার সাংসদ পদের লড়াই। তার আগেই নিজের এক্স হ্যান্ডেলে জেলবন্দি পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) উদ্দেশে ব্যঙ্গাত্মক পোস্ট করে সংবাদের শিরোনামে উঠে এসেছেন হিরণ।

২০২৪ লোকসভা ভোটে (Lok Sabha Election 2024) ঘাটাল কেন্দ্র থেকে প্রার্থী হলেও হিরণের সবচেয়ে বড় চাপ হল, তাঁকে লড়তে হবে দেবের বিরুদ্ধে। এখানকার স্থানীয় সাংসদ তিনি, কাজও করেছেন। এবার ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান করবে রাজ্য সরকার। ইতিমধ্যেই সেকথা ঘোষণা হয়ে গিয়েছে। দেব বনাম হিরণ, রাজনীতির ময়দানে বড়পর্দার দুই নায়কের টক্কর দেখার জন্য মুখিয়ে রয়েছে সকলে। তার আগেই নিজের এক্স হ্যান্ডেলে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে নিশানা করলেন ঘাটালের পদ্ম-প্রার্থী।

পার্থর একটি ছবি শেয়ার করে হিরণ লিখেছেন, ‘আজ ঠিক উনিশ মাস ছয় দিন পূর্ণ হলো, উনি আমাদের মধ্যে নেই- জেলে আছেন। কাশ্যপ মুনির বংশোদ্ভূত এই অদ্ভুত তেজোদীপ্ত মানুষটি গত বছর ২৩শে জুলাই, বাংলা ৬ই শ্রাবণ, শনিবার, দশমী তিথিতে বৃষ রাশিতে চন্দ্র গোচরে থাকাকালীন জেলযাত্রায় রত হন’।

নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় জড়িয়ে গত প্রায় দেড় বছর ধরে জেলবন্দি পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তাঁকে দল পদ-মন্ত্রী থেকে তাঁকে সরিয়ে দিয়েছে। সেই পার্থকে নিশানা করে হিরণ লেখেন, ‘কর্মবীর শব্দটি যেন ওনার কাছে এসে ম্লান হয়ে যায়। বাংলাকে শিক্ষা, শিল্পে চারশো বছর এগিয়ে দেবার ক্ষেত্রে প্রাণপণ চেষ্টা করেছেন বিষ্ণুমাতার আশীর্বাদে। স্ত্রী পরলোক গমন করার পরে শোকাহত অবস্থাতেও নিজের ৭০ বছর বয়সের শরীরটাকে ক্লান্ত হতে না দিয়ে তার ২৯ বছরের বান্ধবী অর্পিতাদেবীর সাথে অক্লান্ত পরিশ্রম করে শিক্ষা আর শিল্প দফতরের উন্নয়ন করে দিয়েছেন’।

hiran chatterjee partha chatterjee

আরও পড়ুনঃ অনুব্রত গড়ে BJP-র প্রার্থী প্রিয়া সাহা! কে ইনি? মহিলার আসল পরিচয় জানলে মাথা ঘুরে যাবে

পার্থর পাশাপাশি অর্পিতার প্রসঙ্গও এভাবে নিজের পোস্টে টেনে এনেছেন হিরণ। ইতিমধ্যেই তা নিয়ে বিস্তর চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে। এখানেই অবশ্য থামেননি এই তিনি। লেখার শেষে হিরণ উল্লেখ করেছেন, ‘এই স্বাত্তিক মানুষটি বার্ধক্যে এসে নিজের রোজগুণে এবং তমোগুণকে সম্পূর্ণভাবে বিসর্জন দিয়েছিলেন। এও শোনা যায় যে মা-মাটি-মানুষের এই প্রতিনিধি সারাদিনে মাত্র সাড়ে চার হাজার টাকার ফলমূলাদি আদার হিসেবে গ্রহণ করতেন। আহারে অদৃষ্ট! হে কর্মবীর, লহ প্রণাম!’ লেখার শেষে প্রণামের ইমোজিও যোগ করেছেন বিজেপি বিধায়ক।

Sneha Paul
Sneha Paul

স্নেহা পাল, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তরের পর সাংবাদিকতা শুরু। বিগত প্রায় ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর