বাংলাহান্ট ডেস্ক : বাংলায় দুই কেন্দ্রের উপনির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা হয়েছে আজই। অপ্রত্যাশিত ভাবে কার্যতই বিজেপির ঝুলি শুন্য। আসানসোল বিজেপির গড় নামে পরিচিত হলেও সেখানকার শক্ত মাটিতেও মাথা তুলল তৃণমূল। আসানসোল লোকসভা আসন গেল তৃণমূলেরই হাতে। বিজেপির অগ্নিমিত্রা পালকে হারিয়ে সেখানে জয়ী তৃণমূল প্রার্থী শত্রুঘ্ন সিনহা। অন্যদিকে বালিগঞ্জে বিজেপির কেয়া ঘোষের থেকে এগিয়ে গিয়েছেন বাম প্রার্থী সায়রা হালিমও। বালিগঞ্জে তৃতীয় স্থানে বিজেপি। আর এই পরাজয়কে নিয়েই যে ইতিমধ্যেই চাপান উতোর তৈরি হয়েছে বঙ্গ বিজেপির অন্দরে, তা বলাই বাহুল্য। এরই মধ্যে দলের বিরুদ্ধে একাধিক বিস্ফোরক অঅভিযোগ এনে সরব হলেন সৌমিত্র খাঁ। অনেক কিছুই শেখার আছে তৃণমূলের থেকে, দাবি বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদের।
এদিন উপনির্বাচনে দলীয় প্রার্থীদের পরাজয়ের পর সৌমিত্র খাঁ বলেন, ‘অপরিনত রাজনীতিবিদ যখন মাথার উপরে বসে রাজ্য রাজনীতি করে,তার ফলটাই আমাদের ভুগতে হচ্ছে। পশ্চিমবাংলার যাঁরা দীর্ঘদিন ধরে রাজনীতি করে এসেছেন, তাঁরা যদি হঠাৎ করে মাথার উপরে না থাকেন, ফল একদিন ভুগতে হয়ই।’
তিনি আরও বলেন, ‘তৃণমূল কংগ্রেসের কাছে আমাদের অনেক কিছুই শেখার আছে। তারা ভোটের রাজনীতিটা খুব ভালো করেই করতে পারে এবং তারা সেই ভোটের রাজনীতি করে দেখিয়েওছে। এখন দুয়ারে সরকার, দুয়ারে লক্ষ্মী এসব করেই ফল পেয়েছে। দুবছর পর ভোট। তখন আবার গনেশ পুজো ইত্যাদি শুরু করে দেবে ওরা।’
তিনি আবারও বলতে শোনা যায়, ‘অপরিণত রাজনীতিবিদরা মাথার উপরে বসলে ভালো ফলের আশা করাই উচিত না। যাঁদেরকে বহিষ্কার করা হয়েছিল দল থেকে আমার মনে হয় অবিলম্বে তা প্রত্যাহার করে তাঁদের দলে ফেরানো উচিত এবং সবাই মিলে আবার একসঙ্গে কাজ করতে হবে। আমরা নেতা, বস নই, একথাটা মনে রাখতে হবে।’
সৌমিত্র খাঁর এদিনের বক্তব্যে কার্যতই তুমুল শোরগোল রাজনৈতিক মহলে। অপরিণত বলে কাকে দাগলেন বিজেপি নেতা? দলের ভরাডুবির দায় কি তবে সুকান্ত মজুমদার, অমিতাভ চক্রবর্তীদের ঘাড়েই চাপালেন তিনি? একই সঙ্গে বহিষ্কৃত নেতাদের দলে ফিরিয়ে আনার দাবি জানিয়েছেন সৌমিত্র। এটাকেই বা কীভাবে দেখবে দল? তবে কি বিদ্রোহী দলে নাম লেখালেন বিষ্ণুপুরের সাংসদও? বিভিন্ন মহলে উঠছে একাধিক প্রশ্ন। তবে সৌমিত্র খাঁয়ের এহেন মন্তব্য যে বিজেপির অন্দরের ভাঙনেরই ইঙ্গিত শোনালো এমনটাই দাবি রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের।