বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ২০২২ সাল থেকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় জেলবন্দি রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)। সম্প্রতি ইডি মামলায় জামিন পেলেও সিবিআই এর মামলায় অব্যাহতি মেলেনি। ফলত জেলমুক্তি হয়নি তার। এবার তৃণমূলের প্রাক্তন মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ তুললেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়ের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী ফোনে কথা হয় বলে দাবি তুললেন তিনি।
পার্থকে নিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ- Partha Chatterjee
বিচারাধীন বন্দির সাথে কিভাবে কিভাবে কথাকে হতে পারে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর? শুভেন্দু অভিযোগ তুলতেই উঠছে প্রশ্ন। যদিও নিজের দাবিতে অনড় থেকে বিরোধী দলনেতা বলেন, ‘পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধানের ফোনে কথা হয়। আগের কথাগুলো বলব না। সাম্প্রতিক কথা বলছি। তিনি যেদিন চান বেলের মোরব্বা খান, যেদিন চান খাসির মাংস খান। গত অষ্টমীর দিন লুচি ছোলার ডাল খেয়েছেন। স্বাভাবিকভাবে কাদের হাতে আছে বোঝা যায়।’
এই ইসুতেই শুভেন্দু বলেন, ‘এই ধরনের স্পর্শকাতর বিষয়গুলোর ক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গের বাইরে মামলা নিয়ে যাওয়া উচিত। তদন্তকারী সংস্থা চার্জশিট দিয়েছে। কনভিকশন করাতে চান। সুপ্রিম কোর্টকে বলে এই মামলাগুলি বাংলার বাইরে নিয়ে যান সেকথা বলব।’ সেইসঙ্গে রোজভ্যালির প্রসঙ্গ তুলে শুভেন্দু বলেন, ‘জেল কাকে বলে সুদীপ দা জানেন। জেল কাকে বলে শাহজাহান, পার্থ চ্যাটার্জি এরা জানে না।’
অনুব্রতর ইস্যু তুলে শুভেন্দু বলেন, ‘জেল কাকে বলে কিছুটা অনুব্রত মণ্ডল জানেন। তিনি তিহাড় জেলে ছিলেন। জেলে যাওয়ার আগের ভাষা আর আজকের ভাষার মধ্যে বিরাট তফাৎ। সুদীপদার ভাষার মধ্যেও তফাত চোখে পড়ে পার্লামেন্টে। একজন ভুবনেশ্বরে আর একজন তিহাড়ে ছিলেন। তবে জীবনকৃষ্ণ সাহা, মানিক ভট্টাচার্য এদের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। এরা এখানের জেলে থেকেছে। এদের আমরা দেখছি নির্লজ্জের মতো, মুখে মাস্ক না লাগিয়ে ঢুকছেন বের হচ্ছেন। আমার স্ট্যান্ডিং কমিটি কোথায় খোঁজ নিচ্ছেন।’
আরও পড়ুন: জুনিয়র চিকিৎসকরা আর করতে পারবেন না ‘এই’ কাজ! নয়া নির্দেশিকা জারি হতেই শোরগোল
প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের জুলাই মাসে পার্থের (Partha Chatterjee) গ্রেফতারির পর পরই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, ‘‘বিচারে আইন যা রায় দেবে, আমাদের দল মেনে নেবে। বিচারে যত চরমই শাস্তি হোক, আমরা কোনও হস্তক্ষেপ করব না। যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিলেও আই ডোন্ট মাইন্ড!’’ সেই সময় এর প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে পার্থ বলেছিলেন ‘‘ঠিকই বলেছেন।’’ সেবছর ২৩ জুলাই গোয়েন্দাদের হাতে গ্রেফতার হওয়ার পরই পার্থকে দলের সব পদ, মন্ত্রীত্ব থেকে সরিয়ে দেয় তৃণমূল। যদিও প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী হামেশাই বলে গিয়েছেন, “দলের সঙ্গে ছিলাম, আছি এবং থাকব।’’