বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গত বছর থেকে নিয়োগ দুর্নীতি ইস্যুতে (Recruitment Scam) তোলপাড় রাজ্য। শিক্ষক কেলেঙ্কারির দায়ে জেলবন্দি শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের মন্ত্রী, বিধায়ক থেকে শুরু করে একাধিক নেতা। দেদারে হয়েছে দুর্নীতি, টাকার বিনিময়ে বিক্রি হয়েছে চাকরি! একদিকে আদালতে চলছে পাহাড় প্রমান দুর্নীতির বিরুদ্ধে একাধিক মামলা, অন্যদিকে ‘হকের’ চাকরির দাবিতে নাওয়া-খাওয়া ভুলে মহানগরীর রাজপথে ‘যোগ্য’ চাকরিপ্রার্থীরা।
আন্দোলনকারীদের দাবি খোদ রাজ্যের মমতাময়ী মুখ্যমন্ত্রী এসে তাদের কথা শুনুক। তৃণমূল সুপ্রিমোর হস্তক্ষেপেই এই সমস্যার দ্রুত সমাধান চাইছেন তারা। তবে চাইলেই কি আর পাওয়া যায়! বছর পেরিয়ে গেলেও এখনও মুখ্যমন্ত্রীর তরফে কোনও বার্তা পৌঁছায়নি তাদের কাছে। আর এভাবেই কাটছে দিনের পর দিন মাসের পর মাস। যা নিয়ে দিন দিন জোরালো হচ্ছে রাজনৈতিক তরজাও।
বঙ্গের শিক্ষাক্ষেত্রে এই কঙ্কালসায় পরিস্থিতি, অন্যদিকে বৃহস্পতিবারই আনুষ্ঠানিকভাবে ৪৪, ৭০৩ জনকে নিয়োগপত্র প্রদান করল মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মার অসম সরকার। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের উপস্থিতিতে অসম সরকারের (Assam Government) বিভিন্ন বিভাগের অধীনে তৃতীয় এবং চতুর্থ শ্রেণির ৪৪,৭০৩ জন সফল প্রার্থীকে আনুষ্ঠানিকভাবে নিয়োগপত্র বিতরণ করা হয় গতকাল। এই নিয়েই প্রতিবেশী রাজ্যের সঙ্গে তুলনা টেনে বাংলার মমতা সরকারকে তোপ দাগলেন বিজেপি নেতা (BJP Leader) তথা হাইকোর্টের আইনজীবী তরুণ জ্যোতি তিওয়ারি (Tarunjyoti Tewari)।
ঠিক কি বললেন তিনি? এদিন সমাজমাধ্যমে একটি পোস্ট করে তরুণজ্যোতি লেখেন, ” আসামে একসাথে ৪৪,৭০৩ সরকারি শূন্যপদে নিয়োগ। আসাম পারে, বাংলা পারে না। দু’বছর আগে নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল আসাম সরকার।। তারা প্রতিশ্রুতি রেখেছে।”
এখানেই শেষ নয়! এরপর রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তোপ দেগে তিনি লেখেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই বলেন যে প্রতিশ্রুতি মানে হলো প্রতারণা, তাই তিনি প্রতারণা করে চলেছেন।”
নেতার মুখে উঠে আসে মহার্ঘ ভাতার প্রসঙ্গও। তার কথায়, “আসাম সরকার তাদের কর্মচারীদের DA কত শতাংশ দেয় সেটা না হয় আপনারা একটু খোঁজ করে নেবেন। একটা পিছিয়ে থাকা রাজ্য আস্তে আস্তে এগিয়ে যাচ্ছে আর পশ্চিমবঙ্গ আস্তে আস্তে পিছিয়ে পড়ছে মাননীয়ার অনুপ্রেরণায়।”