বাংলা হান্ট ডেস্ক: রামজীবনপুর পুরসভার চেয়ারম্যান তথা তৃণমূল নেতা নির্মল চৌধুরীর বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ করে এফআইআর দায়ের করল বিজেপি। তাদের অভিযোগ, প্রভাব খাটিয়ে পুরসভার মিটিং-এর রেজোলিউশন খাতা নিজের কাছে রাখেন নির্মল চৌধুরী। সরকারি তথ্য লোপাটেরও অভিযোগ করা হয়েছে এই তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে।
উল্লেখ্য, রাজ্যের বিজেপি নেতৃত্ব সিদ্ধান্ত নিয়ে বাংলার সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে রাষ্ট্রপতির কাছে দরবার করেছে, উদ্দেশ্য নতুন বাংলা। কৈলাস বিজয়বর্গীয়র নেতৃত্বে বিজেপির ৭ জনের একটি প্রতিনিধি দল রাষ্ট্রপতিভবনে যায়। এই সংক্ষিপ্ত দলটির মধ্যে ছিলেন সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরী, সাংসদ অর্জুন সিং, সাংসদ এসএস আলুওয়ালিয়া, রাজ্যসভার সাংসদ স্বপন দাশগুপ্ত ও বিজেপি নেতা মুকুল রায়। রাজনৈতিক মহলের একাংশ সন্দেহ করছে এর পেছনে কি কোনো মতলব আছে বিজেপির? তাহলে কি বাংলায় রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করাতে উঠে পড়ে লেগেছে গেরুয়া শিবির? শুরু হয়েছে জল্পনা।
এদিন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের সঙ্গে বৈঠকের পর রাষ্ট্রপতি ভবন থেকে বেরিয়ে কৈলাস বিজয়বর্গীয় সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বলেন, “আমাদের মাননীয় রাষ্ট্রপতি কে বর্তমানে রাজ্যের যে পরিস্থিতি তার পুঙ্খানুপুঙ্খ সবিস্তারে জানানো হয়েছে। এমনকি রাস্ট্রপতির কাছে এই অভিযোগ জানানো হয়েছে যে নবরাত্রির ৯ দিনে রাজ্যে ১০ জন বিজেপি কার্যকর্তা খুন হয়েছেন। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে রাজ্যে ব্যাপক হিংসা হয়েছে। মানুষের রক্ত ঝরেছে চতুর্দিকে।”
বিজয়বর্গীয় আরও বলেন, “আমাদের সকলের সামনে এখন পৌরসভা নির্বাচন, খুব শিগগিরই তা আসছে। আমাদের এখন পরিকল্পনা এই নির্বাচনে যেন কোন রকম দুর্নীতি জনক ঘটনা না ঘটে, এ বিষয়টিকে একেবারে সুনিশ্চিত করা প্রয়োজন তাহলে বহু মানুষের প্রাণ বাঁচবে। আর এই নির্দিষ্ট কারণ এই নির্দিষ্ট জন্যই রাস্ট্রপতির কাছে দরবার করেছি আমরা।” শুধু তাই নয় এদিন তিনি আরো জানান, মাননীয় রাষ্ট্রপতি আমাদের সব কথাই শুনেছেন এবং তিনি আশ্বাস দিয়ে জানিয়েছেন রাজ্যপালের কাছ থেকে এই সমস্ত ঘটনা রিপোর্ট নিয়ে তিনি পর্যালোচনা নিশ্চয়ই করবেন।”