বাংলাহান্ট ডেস্ক : দেশে ৫টি আসনের উপনির্বাচনে বিজেপির ফলাফল দেখে কার্যতই খানিক ক্ষুণ্ণ গেরুয়া শিবির। মন ভেঙেছে তাদের। ৫টি আসনের মধ্যের ৪টি বিধানসভা এবং ১টি লোকসভা আসনের একটিও আসেনি তাদের দখলে। সর্বত্রই দাপিয়ে বেরালো বিরোধী শিবির।
রাজ্যেরও দুটি আসন বালিগঞ্জ এবং আসানসোলে শাসক দলের কাছে গুনে গুনে গোল খেয়েছে পদ্মশিবির। বালিগঞ্জের বিজেপি প্রার্থী কেয়া ঘোষ ধরে রাখতে পারেননি দ্বিতীয় স্থানও। বামেদের কাছেও কয়েক হাজার ভোটে হেরে তৃতীয় স্থান গিয়েছে তাঁর দখলে। আসানসোলেও অগ্নিমিত্রা পাল ভেসে গিয়েছেন বিহারিবাবু শত্রুঘ্ন সিনহার প্রাপ্ত ভোটের কাছে। আসানসোল কার্যতই বিজেপির গড় হলেও, উপনির্বাচনে শিকে ছেঁড়েনি সেখানে বিজেপির ভাগ্যে।
বাংলার বাইরেও তিনটি রাজ্যের উপনির্বাচনের ফলাফল প্রকাশ হওয়ার কথা ছিল শনিবারই। নির্বাচন কমিশনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, সেই তিন আসনেই হারের পথে বিজেপি। মহারাষ্ট্রের কোলাপুর উত্তর আসনটি যাবে কংগ্রেসেরই দখলে। ছত্তিশগড়ের খাইরগড় আসনটিও যেতে চলেছে হাত শিবিরের হাতেই। অন্যদিকে বিহারের একটি আসনের উপনির্বাচনেও শাসকদলকে বাউন্ডারির বাইরে পাঠিয়েছে তেজস্বী যাদবের আরজেডি। ছত্তিশগড়ে আগামী বছরই বিধানসভা নির্বাচন। তার আগেই জনতা কংগ্রেস পার্টির হাত থেকে আসনটি কংগ্রেসের হাতে আসার বিষয়টিকে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন পর্যবেক্ষক মহলের একাংশ।
ফেব্রুয়ারি মাসে ৫ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনেই ফার্স্ট বয় হয়েছে বিজেপি। চরম বিরোধীতা, একাধিক বিপক্ষে থাকা ইস্যু সত্ত্বেও দুর্দান্ত জয় আসে চাফ রাজ্যেই। গেরুয়া শিবিরের দখলে আসে গোয়া, মণিপুর, উত্তরাখণ্ড এবং উত্তরপ্রদেশ। সেই নির্বাচনের ফলাফলে এখনও পেরোয়নি মাস দেড়েকও। এরই মধ্যে উপনির্বাচনে এহেন বিফলতার মুখ দেখল বিজেপি। রাজনৈতিক মহলের দাবি, জিনিসপত্রের বাড়তে থাকা দাম, পেট্রোল ডিজেলের মাত্রাতিরিক্ত মূল্যবৃদ্ধি এবং এসবকিছুর প্রতি কেন্দ্রীয় শাসকদলের উদাসীনতাই কাজ করেছে এই পরাজয়ের পিছনে। যদিও এই হারকে খুব একটা পাত্তা দিতে নারাজ গেরুয়া শিবির।