‘ভয় দেখিয়ে, চাপে…’ বাঁকুড়ায় ঘরওয়াপসি করেই ‘বোমা’ ফাটালেন বিজেপি সদস্যা, পঞ্চায়েত হাতছাড়া তৃণমূলের

Published on:

Published on:

bjp(3)

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ দুয়ারে বিধানসভা নির্বাচন। রাজ্যে ভোট যতই এগিয়ে আসছে একদিকে যেমন চড়ছে রাজনীতির পারদ, অন্যদিকে পাল্লা দিয়ে চলছে দলবদল। কোথাও তৃণমূল ছেড়ে বিজেপি (BJP) যোগদানের হিড়িক। কোথাও বিজেপি ছেড়ে শাসক শিবিরে (Trinamool Congress)। এরমধ্যেই নজর কাড়ল বাঁকুড়ার (Bankura) সোনামুখী বিধানসভার মানিকবাজার গ্রাম পঞ্চায়েত। এই পঞ্চায়েতে বড় রাজনৈতিক পালাবদল ঘিরে বর্তমানে শোরগোল।

মানিকবাজার গ্রাম পঞ্চায়েত ফের বিজেপির দখলে | BJP

জানা যাচ্ছে, ১৭০ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্যা শ্যামলী লোহার গত ৭ সেপ্টেম্বর বিজেপি ছেড়ে শাসক শিবিরে নাম লিখিয়েছিলেন। তবে দশ দিনও না পেরোতেই ফের তৃণমূল কংগ্রেস থেকে বিজেপিতে ফিরে এলেন। শ্যামলীদেবীকে তৃণমূলে যোগদান করিয়েছিলেন বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি সুব্রত দত্ত। তবে লাভের লাভ কিছুই হল না। ঘরওয়াপসি শ্যামলীর।

শুধুই যে বিজেপিতে ফিরে এলেন এমন নয়, একইসাথে শাসকদলের বিরুদ্ধে মারাত্মক অভিযোগ তুললেন শ্যামলী। তাঁর স্পষ্ট অভিযোগ, তৃণমূলের নেতারা তাঁকে এবং তাঁর স্বামীকে ভয় দেখিয়ে, চাপে ফেলে তৃণমূলে যোগদান করতে বাধ্য করেছিল। শ্যামলী বলেন, “আমি বিজেপিতেই ছিলাম, বিজেপিতেই আছি, বিজেপিতেই থাকব।”

শ্যামলী লোহারের কথায়,” তৃণমূল ভয় দেখিয়ে গুন্ডা দিয়ে ওদের দলে যোগদান করিয়েছিল। আমাদের বলেছিল, আমাদের দলে না আসলে তোমাদের ঘরে অত্যাচার করব, মারব, এখানে থাকতে দেব না। বিজেপিতে ছিলাম, বিজেপিতেই থাকব।”

BJP

আরও পড়ুন:‘বিহারে বাতিল হতে পারে SIR’, ভোটার তালিকা সংশোধনে অনিয়ম নিয়ে হুশিয়ারি সুপ্রিম কোর্টের

উল্লেখ্য, এই মানিকবাজার পঞ্চায়েতের মোট সদস্য সংখ্যা ৯। যার মধ্যে ৫ জন ছিলেন বিজেপির, আর ৪ জন ছিলেন তৃণমূলের। তবে চলতি মাসে শ্যামলী তৃণমূলে যোগ দিতেই হিসেব বদলে যায়। ১ এগিয়ে খেলা ঘুরিয়ে দেয় তৃণমূল। তবে সেই খেলা জমল না। শ্যামলী ফের বিজেপিতে ফিরতেই হল বুমেরাং। বিজেপি ৫, তৃণমূল আবার কমে হল ৪। অর্থাৎ মানিকবাজার গ্রাম পঞ্চায়েত ফের গেরুয়া শিবিরের দখলে।