বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বিরোধী শিবির এবং শাসক শিবির দু’পক্ষকেই তাদের চাহিদা অনুযায়ী নির্বাচন করেন জনতা। দুপক্ষেরই জবাবদিহি আম জনতার কাছে, পাঁচ বছর বাদে প্রত্যেককেই দিতে হয় তাদের কাজের খতিয়ান। তাই সংসদীয় রাজনীতি দুই প্রতিপক্ষের মরিয়া লড়াই নয় কেবল, তার মধ্যে দরকার সৌজন্যবোধও। এই রাজনৈতিক সৌজন্যবোধেরই অভাব এখন লক্ষণীয় গোটা দেশজুড়ে। বাংলাও তার ব্যতিক্রম নয় বলেই মনে করতেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। তবে এবার দেখা গেল এক সুন্দর সৌজন্যের ছবি।
যা দেখে অনেকেই বলছেন রাজনৈতিক সৌজন্য তো এমনটাই হওয়া উচিত। আসলে সোমবার নবান্নে আদিবাসী উন্নয়ন অ্যাডভাইজারি কাউন্সিলের মিটিং ডেকেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। সেই বৈঠকে উপস্থিত থাকতে দেখা গেল বিজেপি বিধায়ক মনোজ টিগ্গাকে। মাদারিহাট বিধানসভা আসন থেকে জয়লাভ করে বিধায়ক হন মনোজবাবু। এটিও একটি আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকা। আর সেই কারণে আদিবাসী উন্নয়ন অ্যাডভাইজারি কাউন্সিলের বৈঠকে তারও যে বক্তব্য থাকবে তা বলাই বাহুল্য।
কিন্তু এই রাজনৈতিক সৌজন্যেই কালে কালে উধাও হয়ে গিয়েছিল বাংলা থেকে। অনেক ক্ষেত্রেই বিরোধীদের অভিযোগ ছিল, মমতা বেশিরভাগ বৈঠকে বিরোধীদের পরামর্শ নেন না। অনেক সময় এও দেখা গিয়েছে আমন্ত্রণ পাওয়ার পরেও বিরোধীরা বৈঠকে পৌঁছাননি। কারণ তাদের বক্তব্য, ওসব আমন্ত্রণ নাম কে ওয়াস্তে। আসলে আমাদের কথা শোনা হয়
বাংলাতে অবশ্য সৌজন্যে অসৌজন্য নিয়ে কথা কম ওঠেনি। বিশেষত মুকুল রায়কে পিএসসি চেয়ারম্যান করাকে কেন্দ্র করে পরপর যা যা ঘটনা ঘটেছে তা কারোরই অজানা নয়। কিন্তু তারই মধ্যে এ ধরনের ব্যতিক্রমী ঘটনা যে কিছুটা স্বাদ বদল করলো তা বলাই বাহুল্য।