বাংলাহান্ট ডেস্ক: রবিবার আলিপুরদুয়ার সফরে গিয়েই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চা শ্রমিক ও আদিবাসীদের জন্য একাধিক প্রকল্পের ঘোষণা করেছেন। এমনকি চা শ্রমিকদের দীর্ঘদিনের দাবি মেনে পাট্টা দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও করেছেন। পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী তাদেরকে বলেন যে বাড়ি বানানোর জন্য এক লক্ষ কুড়ি হাজার টাকা করে দেওয়া হবে।
আর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই প্রতিশ্রুতির পরেই বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন শিলিগুড়ির বিধায়ক শংকর ঘোষ। মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণাকে লোকসভা ভোটের আগে মুখ বাঁচানোর চেষ্টা বলেও দাবি করেছেন এই বিজেপি নেতা। পাশাপাশি তার বক্তব্য, সরল চা শ্রমিকদের বোকা বানানোর চেষ্টা করছেন তিনি।
আরোও পড়ুন : সোনায় সোহাগা চিকেনপ্রেমীদের! ভীষণ সস্তায় বিকোচ্ছে মুরগির মাংস, কলকাতায় রেট কত?
শংকরবাবুর মন্তব্য, ‘চা বাগানে পাট্টা দেওয়ার কোনও আইনি অধিকার রাজ্য সরকারের নেই। চা বাগানের জমি সরকারি জমি নয়। লিজের জমিতে পাট্টা দেওয়া বেআইনি। তাছাড়া চা শ্রমিকরা উদ্বাস্তু নন। তাঁরা হয় সেখানকার আদিবাসী, নইলে শ্রমিক হিসাবে স্বেচ্ছায় সেখানে এসেছেন। পরিযায়ী শ্রমিকদের পাট্টা দেওয়ার কোনও নিয়ম নেই’।
আরোও পড়ুন : প্রকাশ্যে এল কলকাতা মেট্রো রেলে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি, মাধ্যমিক পাশেই করতে পারবেন আবেদন
শংকরবাবুর কথায়, ‘চা সুন্দরী প্রকল্পেও ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে। প্রায় ৬ লক্ষ টাকা খরচ দেখানো হলেও সরকারের বেঁধে দেওয়া মাপকাঠিতে বাড়ি তৈরি হয়নি। সেই দুর্নীতি ধামাচাপা দিতেই মাছের তেলে মাছ ভাজার পরিকল্পনা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।এতে চা শ্রমিকদের পাট্টা দেওয়ার নাটকও করা গেল, আবার চা সুন্দরী প্রকল্প বন্ধ করে খরচ কমানো গেল, তাছাড়া চা মালিকদের সঙ্গে বোঝাপড়া করে তাদের শ্রমিক কোয়ার্টারগুলি মেরামতির দায়িত্ব থেকে নিষ্কৃতিও দেওয়া গেল।’
মমতাকে আক্রমণ করে তিনি বলেন, ‘এক তিরে তিন পাখি মারার মতলবে আছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সরকারের সঙ্গে চা বাগান মালিকদের কোনও সেটিং হয়েছে বলে আমরা খবর পাচ্ছি। গোটা বিষয়টা ক্রমশ প্রকাশ্যে আসবে। গত ১২ বছর সব রকমের অত্যাচার করেও তৃণমূল চা বাগানে ঢুকতে পারেনি। আর লোকসভা ভোটে তো প্রশ্নই নেই।’