বাংলাহান্ট ডেস্কঃ নির্বাচনের পর যেন আবারও দলবদলের হিড়িক পড়ে গিয়েছে। বেসুরোদের তালিকায় এবার নাম লেখালেন কালিয়াগঞ্জের বিজেপি বিধায়ক সৌমেন রায় (Soumen Roy)। কারণ, বেশকিছুদিন ধরেই কালিয়াগঞ্জের বিধানসভা কেন্দ্রে তাঁকে দেখা যাচ্ছে না। এমনকি দলের বৈঠকেও গরহাজির তিনি। আবার এরই মধ্যে শুক্রবার মুকুল রায় তৃণমূলে ফিরতেই রবিবার বিজেপির জেলা হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপও ছেড়ে দিলেন সৌমেন রায়।
বঙ্গ রাজনীতিতে নির্বাচনের পূর্বে দলবদলের একটা ঝড় উঠেছিল। গেররুয়া শিবিরের বাংলা জয়ের স্বপ্নের কান্ডারি হতে দলে দলে তৃণমূল সহ অন্যান্য দলের হেভিওয়েট নেতৃত্বরা নাম লিখিয়েছিলেন বিজেপি শিবিরে। কিন্তু নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশ হতেই, উল্টে যায় সবকিছু। এখন দেখা যাচ্ছে আগে যারা দল বেঁধে পদ্ম শিবিরে যোগ দিয়েছিলেন, এখন তারাই আবারও বেসুরো গান গেয়ে ফিরতে চাইছেন পুরনো ঠিকানায়।
এরই মধ্যে গত শুক্রবার সপুত্র মুকুল রায় বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়ায়, দলবদলুদের কাছে ফিরে যাওয়ার রাস্তা অনেকটাই পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে।
তবে এরই মধ্যে আবার কিছুটা বেসুরো লাগল কালিয়াগঞ্জের বিজেপি বিধায়ক সৌমেন রায়ের আচরণ। বিগত কয়কদিন ধরে তাঁকে বিধানসভা কেন্দ্রেও যেমন দেখা যাচ্ছে না, তেমনই আবার দলীয় বৈঠকেও অনুপস্থিত থাকছেন তিনি। আবার রবিবার দলের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপও ছেড়ে দিয়েছেন সৌমেন রায়। আবার জানা গিয়েছে, বর্তমানে ফালাকাটা কিংবা কলকাতায় রয়েছেন তিনি।
দলবদলের জল্পনা জোরালো হতেই যোগাযোগ করা হয় বিজেপি বিধায়কের সঙ্গে। কিন্তু তাঁর সঙ্গে কোনভাবেই যোগাযোগ করা না গেলেও, সন্ধ্যের পর নিজেই ফোন করেন সৌমেন রায়। তিনি জানান, ‘আমার বাবা একটু অসুস্থ রয়েছেন, তাই বর্তমানে ফালাকাটায় রয়েছি। ১৫ ই জুন নাগাদ কালিয়াগঞ্জে ফিরব, আবারও কাজে মন দেব। তবে অজান্তেই দলের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকে বেরিয়ে গিয়েছিলাম’।
এবিষয়ে বিজেপির জেলা সভাপিত বাসুদেব সরকার জানিয়েছেন, সৌমেন রায়ের বাবা মা অসুস্থ থাকার কারণে তিনি ফালাকাটায় গেছেন বলে শুনেছিলাম। তবে কেন তিনি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছাড়লেন, তা খোঁজ নিয়ে বলতে হবে।