বাংলা হান্ট ডেস্কঃ একসময় তৃণমূল কংগ্রেসের (Trinamool Congress) হেভিওয়েট নেতাদের মধ্যে একজন ছিলেন তিনি। দলের প্রথমসারির নেতাদের মধ্যে গণ্য করা হতো তাঁকে। তবে একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে বদলে যায় ‘সমীকরণ’। তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে (BJP) নাম লেখান শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। বর্তমানে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তিনি। এবার সেই শুভেন্দুই তৃণমূল ছাড়ার ‘ব্যখ্যা’ দিলেন। রবিবার উত্তর ২৪ পরগণার বারাসাতের হিন্দু সম্মেলনে এই নিয়ে মুখ খোলেন তিনি।
কেন তৃণমূল ছেড়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)?
নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক এদিন জানান, তৃণমূল কংগ্রেস তাঁকে তাড়িয়ে দেয়নি। বরং শেষদিন অবধি তাঁকে ধরে রাখার চেষ্টা করেছিল রাজ্যের শাসকদল। তবে তিনি আর সেই দলে থাকতে চাননি। কেন এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন? সেটাও জানিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।
শুভেন্দু এদিন বলেন, ‘বর্তমান শাসকদলে অনেক গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় ছিলাম। প্রশাসনিক ও দলগতভাবে। তারা আমায় তাড়ায়নি। তারা আমায় শেষদিন অবধি ধরে রাখার চেষ্টা করেছে। ২০২০ সালের ১ ডিসেম্বর অবধি। আমি ওই দলকে পরিত্যাগ করেছি। তার অনেকগুলো কারণের মধ্যে সবচেয়ে বড় কারণ ছিল, তৃণমূলের তুষ্টিকরণ, তোষণের রাজনীতি’।
আরও পড়ুনঃ ‘বাড়িতে অস্ত্র রাখুন’! ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ার বানানোর আগে ছেলেকে ‘ভালো হিন্দু’ বানানোর পরামর্শ সুকান্তর
এদিন বারাসাতের হিন্দু সম্মেলন থেকে ওপার বাংলায় (Bangladesh) হিন্দু সহ সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতনের প্রতিবাদ জানান রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে নিপীড়িত, আক্রান্ত হিন্দুদের পাশে সকলের দাঁড়ানো উচিত’।
সেই সঙ্গেই উত্তর প্রদেশেরও প্রসঙ্গও টেনে আনেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। বিজেপি বিধায়ক বলেন, মুলায়ম সিং যাদব, অখিলেশ যাদবদের আমলে উত্তর প্রদেশের বুকে একাধিক সাম্প্রদায়িক হিংসা হলেও, যোগী আদিত্যনাথের জমানায় পরিস্থিতির বদল হয়েছে। তাঁর কথায়, ‘মুলায়ম সিং যাদব, অখিলেশ যাদবের সময় ২০১২ থেকে ২০১৭ সাল অবধি ৫ বছরে উত্তর প্রদেশে ৩৭৫টি সাম্প্রদায়িক হিংসা হয়েছে। আর এখন সুরক্ষা কাকে বলে, সুশাসন কাকে বলে, উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ তা দেখিয়ে দিয়েছেন’।