বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সম্প্রতি বঙ্গবাসীর উদ্দেশ্যে কর্মসংস্থানের নয়া দিশার উন্মোচন করে পুজোর সময় চা, ঘুগনি এবং ঝালমুড়ি বিক্রি করার পরামর্শ দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee), যা ঘিরে একের পর এক বিতর্কের সৃষ্টি হয় আর এবার বিধানসভার সামনে এ সকল খাবার বিক্রি করলেন বিজেপির (Bharatiya Janata Party) বিধায়করা। এক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যের প্রতিবাদ করার জন্যই বিজেপির এহেন আয়োজন, যা নিয়ে ইতিমধ্যেই চাঞ্চল্যর সৃষ্টি হয়েছে।
উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক সময়ে বাংলায় একের পর এক দুর্নীতি মামলা সামনে এসে চলেছে। এসএসসি থেকে প্রাথমিক টেট, কয়লা এবং গরু পাচার মামলায় তদন্তকারী সংস্থার হাতে গ্রেফতার হয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা মন্ত্রীরা। এ সকল ইস্যুকে সামনে এনে শাসক দলকে কোণঠাসা করতে মরিয়া বিরোধী দলগুলি।
এর মাঝেই সম্প্রতি কর্মসংস্থানের নয়া দিশা উন্মোচন করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “১০০০ টাকা সংগ্রহ করে একটা কেটলি এবং কয়েকটা মাটির ভাড় নিন। প্রথম সপ্তাহে কয়েকটা বিস্কুট নিন। তারপর মাকে ঘুগনি তৈরি করতে বলুন। তার পরের সপ্তাহে তেলে ভাজা। একটা টুল আর টেবিল নিয়ে বসে যান। পুজোয় বাংলায় এত মানুষ ঘুরতে আসে, দরকার পড়লে ঝাল মুড়ির কৌটো নিয়ে নিন। সঙ্গে বাদাম আর ছোলা। যা বিক্রি হবে, কুলোতে পারবেন না।”
উল্লেখ্য, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এহেন বক্তব্যকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছে বিরোধী দলগুলি। সম্প্রতি এ প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, “বর্তমানে রাজ্য সরকার দুর্নীতিগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। ওদের হাতে কোনো রকম দিশা কিংবা উদ্দেশ্য কিছুই নেই। সেই কারণে সকলকে ঢপ দিয়ে চলেছে।” আক্রমণের সেই ঝাঁঝ বাড়িয়ে এদিন বিধানসভার সামনে প্রতিবাদে বসে বিজেপি বিধায়করা। একইসঙ্গে তাদের সকলের গলায় একটি কালো প্ল্যাকার্ড ঝোলানো ছিল; যেখানে লেখা ছিল, “আমার খোকা লুটবে বঙ্গ, করবে দেদার চুরি/ তোমার খোকা বেচবে পুজোয় ঘুগনি ঝালমুড়ি।”
এদিন বিজেপির প্রতিবাদ কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন মনোজ, বঙ্কিম ঘোষ সহ অন্যান্য একাধিক বিধায়করা। বিজেপি বিধায়ক বঙ্কিম ঘোষ বলেন, “সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন চা, মুড়ি, ঘুগনি বিক্রি করে নাকি কোটিপতি হওয়া যায়। আমাদেরও ইচ্ছে হয় কোটিপতি হব। শুধু মুখ্যমন্ত্রী এবং তার পরিবারের সকলে কেন কোটিপতি হবে? তাই এসব বিক্রি করা শুরু করেছি আর রাজ্যের যুব সমাজকেও একই কথা বলতে চাই।”
যদিও বিরোধীদের আক্রমণের পালটা দিয়েছে ঘাসফুল শিবির। তৃণমূলের দাবি, “প্রধানমন্ত্রী চা বিক্রি করলে সেটাকে প্রকাশ্যে তুলে ধরে বিজেপি নেতা-মন্ত্রীরা আর মুখ্যমন্ত্রী চা, মুড়ি আর ঘুঘনি বিক্রি করার কথা বললে এখন পাল্টা প্রতিবাদ করছে।”