আজ রাজ্যের আইন নিয়ে রাষ্ট্রপতির কাছে লিখিতভাবে জানাতে গেছিলেন রাজ্য বিজেপির ১৮ সাংসদ। এনআরসি, সিএএ, এনপিআর নিয়ে সিএবি নিয়ে যখন উত্তাল দেশ। দেশের কিছু মানুষ এনআরসি নিয়ে নাগরিকত্ব কিভাবে প্রমান করবেন সেই নিয়ে চিন্তায়, তারা বিজেপি সরকারকে তোপ দাগছেন। আবার অন্যদিকে বিজেপি সরকারের নেওয়া সিদ্ধান্তে বেশ কিছু মানুষ বেজায় খুশি।
তাদের মতে দেশে এই নিয়ম আসলে তবেই হিন্দুরা নিরাপদে থাকবে। দেশ উন্নত হবে, সব দিক থেকেই শান্তি বজায় থাকবে। কিন্তু এই দুই মেরুর দ্বন্দে রাজ্যে দেশে রোজ ঘটে চলেছে অশান্তি এবং প্রতিবাদ সভা।মঙ্গলবার সিএএ নিয়ে প্রবল হইহট্টগোল শুরু করে বিরোধীরা। কংগ্রেসের নেতৃত্বে বিরোধী দলের সাংসদের প্রতিবাদে লোকসভার কাজ চালানো দুস্কর হয়ে যায় স্পিকারের পক্ষে। এরপর এনআরসি নিয়ে রাজ্যে একাধিক সমস্যার পরেও বিজেপি একবার বলছে এনআরসি হবে একবার বলচক্সহে হবে না।
আজ রাষ্ট্রপতি ভবন থেকে বেরিয়ে রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুরে এক মহিলার ওপরে যেভাবে অত্যাচার হয়েছে সেব্যাপারে রাষ্ট্রপতিকে জানানো হয়েছে। এর পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন স্কুলে সরস্বতী পুজো বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। যে স্কুলে গত ৫০ বছর ধরে পুজো হতো তা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গকে বাংলাদেশ বানানোর চক্রান্ত চলছে। রাজ্যে নারী নির্যাতন অনেকটাই বেড়েছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। সব বিষয়গুলি রাষ্ট্রপতিকে স্মারকলিপি দিয়ে জানানো হয়েছে।’
রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করে তারা তিনটি বিষয় বলেছেন ।গঙ্গারামপুরের ঘটনা, বিজেপি কর্মীদের ওপরে অত্যাচার ও রাজ্যের আইন শৃঙ্খলার অবনতির পাশাপাশি জানা যাচ্ছে, রাজ্যপালের নিরাপত্তা নিয়েও রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করা হয়। রাজ্যপাল যেখানেই যাচ্ছেন সেখানেই বিক্ষোভ হচ্ছে বারবার। রাজ্যের বিজেপি কর্মীদের ওপরে অত্যাচার চলছে পুলিস কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না।