বাংলাহান্ট ডেস্ক : পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Election) আগে দলীয় রেষারেষি এবার তুঙ্গে উঠেছে। দিন কয়েক আগেই বনগাঁ উত্তরের (Bongaon North) বিজেপি (BJP) বিধায়ক অশোক কীর্তনীয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল যে তিনি সেই অঞ্চলের তৃণমূল গ্রাম প্রধানকে প্রকাশ্যে জুতো পেটা করবেন। তিনি দাবী করেন যে, যদি ওই এলাকায় সুষ্ঠু ভাবে পঞ্চায়েত ভোট পালিত না হয়, তাহলে তিনি ব্যবস্থা নেবেন তৃণমূল কর্মীদের বিরুদ্ধে। এবার সেই অশোক কীর্তনীয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠলো টাকা নিয়ে চাকরি দেওয়ার জন্য।
সূত্রে খবর, তিনি নাকি ১৭ জন চাকরি প্রার্থীকে প্রচুর টাকার বিনিময়ে চাকরি পাইয়ে দিয়েছেন। প্রত্যেকের থেকে নাকি তিনি প্রায় ২ থেকে ২.৫ লক্ষ করে টাকা নিয়েছেন তিনি। এমনটাই অভিযোগ আনলেন বাগদার বিধায়ক তথা বনগাঁ জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস। প্রমাণ স্বরূপ শোনালেন অশোকের ভাইরাল ফোন কলের রেকর্ডিং।
জানা গিয়েছে, গোপালনগর বাজারে তৃণমূলের একটি পথ সভা পালিত হলে বাগদার বিধায়ক এবং বনগাঁ জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস সেখানে বলেন যে, এটা দুর্ভাগ্যজনক যে বনগাঁর মানুষ একজন অসমাজিক, অশিক্ষিত, লোভী এবং অপদার্থ বিধায়ককে পেয়েছেন, তাঁদের এবার এই ভুল সংশোধন করে নেওয়া উচিৎ। সেখানেই তিনি খোলসা করে বলেন যে, পেট্রোপোলের সেন্ট্রাল পার্কিংয়ে চাকরিতে অশোক কীর্তনীয়া ১৭ জনকে নিয়োগ করেছেন প্রচুর টাকার বিনিময়ে।
এমনকী ওই চাকরিতে নিজের শ্যালক ও বোনকেও ঢুকিয়েছেন। তিনি আরও বলেন যে যথেষ্ট সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতেই তিনি এই কথাগুলি বলছেন। তারপরেই তিনি ওই ফোন রেকর্ডিং-এর কথা তুলে বলেন, ওই অডিও যে সত্য সেটা প্রমাণিত হলেই বোঝা যাবে, অশোক কীর্তনীয়া আসলে মানুষ কেমন।
এই কথার প্রসঙ্গেই অশোক কীর্তনীয়া আবার পাল্টা জবাব দেন যে, বিশ্বজিৎ দাস যদি কোনোভাবে প্রমাণ করতে পারেন যে তিনি আসলেই দোষী, তাহলে তিনি নিজের বিধায়ক পদ ছেড়ে দেবেন। কিন্তু যদি প্রমাণে দেখা যায় যে ওই অডিওটি নকল, তাহলে বিশ্বজিৎ দাস তাঁর বিধায়কের পদ ছাড়বেন কীনা। কারণ তিনি এসব নিয়ে আর অতীত ঘাঁটতে চান না।