বাংলাহান্ট ডেস্ক : উত্তরবঙ্গে দুর্যোগ পরিস্থিতি পরিদর্শনে গিয়েছিলেন সোমবার। সেখানেই আক্রান্ত হন বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু (Khagen Murmu)। গুরুতর আহত হন তিনি। মাথা ফেটে কার্যত রক্তারক্তি কাণ্ড হয়। ঘটনায় আতঙ্কিত সাংসদের স্ত্রী মঞ্জু কিস্কু। গোটা ঘটনায় তাঁর অভিযোগের আঙুল রাজ্যের শাসক দলের দিকে। তৃণমূলের চক্রান্তেই সবটা হয়েছে বলে অভিযোগ মঞ্জুর।
খগেন মুর্মুর (Khagen Murmu) উপরে হামলা নিয়ে মুখ খুললেন স্ত্রী
সরাসরি তৃণমূল তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিকেই আঙুল তুলেছেন সাংসদের স্ত্রী মঞ্জু। তিনি বলেন, ‘ওকে ইঁট দিয়ে মারার চেষ্টা করছে। খুন করতে চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী। সিভিক পুলিশও ছিল দেখছিলাম। ওরা তো মানুষকে দেখতে গিয়েছিলেন। এমন কেউ করে? আমরা কেন্দ্রীয় মন্ত্রীত্বকে অভিযোগ করব’।
কার বিরুদ্ধে অভিযোগ সাংসদের স্ত্রীর: খগেন মুর্মুর (Khagen Murmu) স্ত্রী আরও বলেন, ‘এর পেছনে তৃণমূল আছে। ওখানে সিভিক পুলিশকেও দেখেছি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে সবটা জানাবেন বলেও মন্তব্য করেন বিজেপি সাংসদের স্ত্রী। খগেন মুর্মুর (Khagen Murmu) পরিবারের অপর এক সদস্য জানান, ঘটনার আধ ঘন্টা আগেই সাংসদের সঙ্গে কথা হয়েছিল। সাবধানে যেতে বলেছিলেন সাংসদকে। তারপরেই খবর আসে ইঁট মেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়েছে খগেন মুর্মুকে।
আরও পড়ুন : মৃতদের পরিবার পিছু ৫ লক্ষ টাকা, চাকরির সংস্থান, উত্তরবঙ্গে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য বড় ঘোষণা মমতার
কাঠগড়ায় তোলা হল তৃণমূলকে: খগেন মুর্মুর (Khagen Murmu) পরিবারের অভিযোগ, এর নেপথ্যে রয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চক্রান্ত। বিজেপি যাতে আগে পৌঁছাতে না পারে তার জন্যই তৃণমূল এসব পরিকল্পনা করে ঘটিয়েছে। তাঁদের আরও প্রশ্ন, যেখানে সিভিক পুলিশ, ট্রাফিক পুলিশ রয়েছে সেখানে একজন সাংসদের উপরে হামলা হয় কীভাবে? এমন হলে সাধারণ মানুষ কী করবে?
আরও পড়ুন : রেলের সময়সূচীতে বড়সড় রদবদল, বাতিল একাধিক ট্রেন, এক সপ্তাহ জুড়ে যাত্রী ভোগান্তির আশঙ্কা
প্রসঙ্গত, সোমবার বন্যা বিপর্যস্ত উত্তরবঙ্গে গিয়েছিলেন বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু এবং বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। কিন্তু জলপাইগুড়ির নাগরাকাটায় পৌঁছাতেই হামলা হয় তাঁদের উপরে। লাঠি, ইঁট নিয়ে গাড়ির উপরে হামলা করে উন্মত্ত জনতার একাংশ। একটি ভিডিওতে দেখা যায়, রক্তাক্ত অবস্থায় গাড়ির মধ্যে বসে রয়েছেন খগেন মুর্মু। তাঁদের ঘিরে ওঠে ‘গো ব্যাক’ স্লোগান। এরপর অবশ্য আহত সাংসদ এবং বিধায়ককে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।