বাংলা হান্ট ডেস্ক : একদিকে যখন মণিপুর নিয়ে গোটা দেশের হাওয়া উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে, তখনই বাংলার রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট নিয়ে কথা বলতে গিয়ে কেঁদে দিলেন বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় (Locket Chatterjee)। উল্লেখ্য, বিধানসভা নির্বাচন পরবর্তী ভোট হিংসা থেকে শুরু করে বাংলায় পঞ্চায়েত ভোটে ঘটে যাওয়া অশান্তির অভিযোগ তুলে বারংবার সুর চড়িয়েছে বিজেপি।
মণিপুরের দুই মহিলাকে উলঙ্গ করে ঘোরানোর ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়েছে গোটা দেশের রাজনীতি। ন্যক্কারজনক এই ঘটনার তীব্র নিন্দা শোনা গিয়েছে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কণ্ঠেও। এইমুহুর্তে সমস্ত বিরোধীদের তীরের ডগায় মোদী সরকার। শুক্রবারও ২১ জুলাই ধর্মতলার মঞ্চ থেকে বিজেপির প্রতি তীব্র কটাক্ষ শানিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
অপরদিকে এইদিন সকালেই দিল্লির মাটিতে বিজেপি সদর দফতরের সাংবাদিক বৈঠক করে বাংলার মহিলাদের উপর ঘটে যাওয়া অত্যাচারের কথা তুলে ধরলেন বিজেপি নেত্রী। ইতিমধ্যেই বাংলায় এসেছেন বিজেপির মহিলা প্রতিনিধি দল। তবে এইদিন সেই ঘটনার বিবরণ দিতে গিয়ে রীতিমত কেঁদে ভাসালেন হুগলির বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়।
উল্লেখ্য, পঞ্চায়েতের ভোটের পরেই পাঁচলায় ঘটে যায় এক মর্মান্তিক ঘটনা। বিজেপি কর্মীর বাড়িতে আগুন লাগানো থেকে শুরু করে বিজেপির মহিলা প্রার্থীকে হেনস্তা করার অভিযোগ ওঠে রাজ্যের শাসক দলের বিরুদ্ধে। সেই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতেই একুশে জুলাই দিল্লিতে সাংবাদিক বৈঠক করে বাংলায় মহিলাদের উপর অত্যাচারের অভিযোগ তুলে সোচ্চার হয়েছেন লকেট।
বিজেপি সাংসদ এইদিন বলেন, ‘মণিপুরের ঘটনা খুবই সংবেদনশীল ঘটনা, এই ঘটনা খুবই দুঃখের। মণিপুরেরে মেয়েটি দেশের মেয়ে। কিন্তু আমরা বলতে চাই বাংলার পঞ্চায়েত ভোটের নামে খুনের নির্বাচন হয়েছে। এই ভোট সন্ত্রাসের ভোট হয়েছে। মহিলাদের উপর নৃশংসভাবে নির্যাতন, অত্যাচার করা হয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে একজন মহিলা মুখ্যমন্ত্রী হওয়া সত্ত্বেও ১২ বছরে বহুবার মহিলাদের উপর নির্যাতন হয়েছে।’
এখানেই থেমে থাকেননি তিনি। লকেট আরও বলেন, ‘হাওড়ার পাঁচলাতে ৮ জুলাই পঞ্চায়েত ভোটের দিন একজন প্রার্থীকে বুথের ভিতর বিবস্ত্র করে নির্যাতন করা হয়েছে। তার গোপানাঙ্গে হাত দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনায় এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। ডোমজুড়েও গণনার দিন এক প্রার্থীকে বীভৎস নির্যাতন করা হয়েছে। কিন্তু সেই ঘটনার কোনও ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসেনি কারণ ওখানে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে অনেকে দাঁড়িয়েছিলেন। এই ঘটনার কী কোনও বিচার হবে না?’