বাংলাহান্ট ডেস্কঃ বাংলার সরকার এবং রাজ্য পুলিশের বিরুদ্ধে আবারও নিজের ক্ষোভ উগরে দিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় (Jagdeep Dhankhar)। সম্প্রতি সীমান্ত এলাকায় পাকিস্তানী সেনার গুলিতে ঝাঁঝরা হন নদিয়ার বীর শহিদ জওয়ান সুবোধ ঘোষ (subodh ghosh)। কালী পুজোর আগের রাতে ভূতচতুর্দশীর নিকষা অন্ধকারে তার পরিবারে নেমে এসেছিল শোকের ছায়া।
https://twitter.com/jdhankhar1/status/1328523801936596993
রাজ্যপালের অভিযোগ
শহিদ সুবোধ ঘোষের অন্ত্যেষ্টি ক্রিয়ায় তৃণমূলের সাংসদকে ঢুকতে দেওয়া হলেও, প্রবেশের অধিকার পেলেন না বিজেপি সাংসদ। এই অভিযোগে রাজ্য সরকার এবং রাজ্য পুলিশের বিরুদ্ধে নিজের ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে বেশ কয়েকটি ট্যুইট করলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়।
https://twitter.com/jdhankhar1/status/1328526357601550338
রাজ্যপাল অভিযোগ করেছেন শাসক দলের সাংসদকে স্বাগত জানানো হলেও এই অন্ত্যেষ্টি ক্রিয়ায় বিজেপি সাংসদের সঙ্গে অত্যন্ত খারাপ আচরণ করেছে রাজ্যের পুলিশ। তিনি ট্যুইটে লেখেন, ‘শাসক দলের সাংসদ হলেন অতিথি, আর বিরোধী সাংসদ কিনা অনাহূত!’
অল্প বয়সেই যোগ দিয়েছিলেন ভারতীয় সেনাবাহিনীতে
অল্প বয়সেই নিজের যোগ্যতায় ভারতীয় সেনাবাহিনীতে জায়গা করে নিয়েছিলেন নদীয়ার সুবোধ। ১ বছর আগে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধও হয়েছিলেন। মেয়ে হওয়ার সময় মাত্র একমাসের ছুটি নিয়ে বাড়িতে এসেছিলেন সুবোধ। তারপর আবারও ডিসেম্বরে ছুটিতে বাড়িতে আসার কথা ছিল তাঁর।
কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে শহিদের গোটা পরিবার
সেনাবাহিনীর তরফ থেকে যখন শুক্রবার বিকেল ৪ টেয় সুবোধের মৃত্যু সংবাদ দেওয়া হয়, তখন তাঁর গোটা পরিবার কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে। ভূতচতুর্দশীর রাতে চোদ্দ প্রদীপের আলো তো দূরস্তর, নিকষা কালো অন্ধকারে ডুবে গিয়েছিল গোটা বাড়ি। বিয়ের এক বছরের মধ্যেই স্বামীকে হারিয়ে সদ্য বিবধা স্ত্রী অনিন্দিতা এবং তাঁর মা বাসন্তী ঘোষের চোখের জল বাঁধ মানে না। স্ত্রী অনিন্দিতা জানায়, ‘বৃহস্পতিবার মেয়েকে নিয়ে ডাক্তারের কাছে যাওয়ার সময় স্বামী বারবার ফোন করছিল। কিন্তু আজকে ফোন বন্ধ থাকায় বিপদ আঁচ করতে পেরেছিলাম’।