বাংলাহান্ট ডেস্ক : তৃনমূলের বিরুদ্ধে লড়তে এখনও দলত্যাগী বাবুলেই ভরসা রাখছে গেরুয়া শিবির? রাণিগঞ্জে পুরভোটে নিজেদের প্রচারে বাবুল সুপ্রিয়র গানকে হাতিয়ার করে কার্যতই এমনটাই ইঙ্গিত দিল বিজেপি।গতকাল আসানসোলের ১০৩ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থী তারকনাথ ধীবরের হয়ে প্রচার চালাচ্ছিলেন শালতোড়ার বিজেপি বিধায়ক চন্দনা বাউরি। এর পর তাঁকে ৯৩ নম্বরে প্রার্থী দীনেশ সোনির হয়েও প্রচার করতে দেখা যায়। টোটো করে এলাকায় ঘুরে ঘুরেই পুরভোটের প্রচার সারছিলেন চন্দনা।কিন্তু এই দুটি ওয়ার্ডে প্রচারের সময়েই বাজানো হল বিজেপি ত্যাগী বাবুল সুপ্রিয়র গাওয়া ‘এই তৃণমূল আর নয়’ গানটি।
এর আগেও ত্রিপুরার পুরভোটের সময়ও এই গানকেই অস্ত্র করেছিল বিজেপি। এমনকি দল ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়া বাবুল সুপ্রিয়র সামনেও বাজানো হয়েছিল এই গান। যাতে কিঞ্চিৎ বিব্রতই বোধ করেছিলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বর্তমানের তৃণমূল নেতা বাবুল।তবে এবার রাণীগঞ্জ এবং কুলটির ঘটনাটিকে অনেকটাই হালকা ভাবে নিচ্ছেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘শিল্পি যে।কোনো গান গাইতেই পারেন। ভবিষ্যতে আমি তৃণমূলের হয়েও গান গাইব।’
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, আসানসোলের বিজেপি সাংসদ থাকা কালীন ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের সময় তৃনমূলকে আক্রমন শানাতে এই গানটি লিখেছিলেন বাবুল। গেয়েও ছিলেন নিজেই। এরপর অবশ্য দামোদর দিয়ে বয়ে গেছে অনেক জল। গত বছরেই বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন তিনি।
তবে বাবুল সুপ্রিয় ব্যাপারটিকে হালকা ভাবে নিলেও ছাড়ার পাত্র নয় বিজেপি। কাঁটা দিয়েই কাঁটা তোলার লক্ষ্যে তাই তারা তৃণমূলের বিরুদ্ধে ব্যবহার করছে তৃণমূল নেতারই গাওয়া গান। এদিন চন্দনা বাউরিও কার্যতই সাফ জানিয়েছেন, বাবুল সুপ্রিয় দল ছাড়লেও এই গানটিই সবচেয়ে পছন্দ তাঁর। তাই সমস্ত প্রচারে এই গানটিই বাজাবেন চন্দনা।এই ঘটনায় অবশ্য তৃণমূলের তরফে কোনো প্রতিক্রিয়াই পাওয়া যায়নি এখনও।