বাংলা হান্ট ডেস্কঃ তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর মমতা সরকারের (Mamata Banerjee Govenrment) সবথেকে বড় কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে কসবার ভুয়ো ভ্যাকসিন কাণ্ড। তৃণমূল সাংসদ মিমি চক্রবর্তী ওই ভুয়ো ভ্যাকসিন কেন্দ্র থেকে টিকা নিয়ে এখন চরম বিপাকে পড়েছেন। আসলে দেবাঞ্জন দেবের (Debanjan Deb) দ্বারা চালানো টিকাকেন্দ্র আসল টিকা বলে কিছুই ছিল না। জলের সঙ্গে পাউডার মিশিয়ে সেগুলো মানুষের শরীরে পুশ করে দেওয়া হয়েছে মাত্র। আর সেই কারণেই সাংসদ মিমি সমেত বেশ কয়েকজন বিপাকে পড়েছেন।
ভুয়ো টিকাকেন্দ্র চালানো ভুয়ো আইএএস অফিসার দেবাঞ্জনকে নিয়ে এখন তোলপাড় বঙ্গ রাজনীতি। বিজেপির তরফ থেকে দেবাঞ্জন দেবের সঙ্গে তৃণমূলের বড়বড় নেতা-মন্ত্রীদের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল করা হচ্ছে। গেরুয়া শিবির সরাসরি এই কাণ্ডের মধ্যে যে বড়সড় দুর্নীতি খুঁজছে, সেটা বলার অপেক্ষা রাখেনা আর।
মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, সাংসদ শান্তনু সেনের সঙ্গে দেবাঞ্জনের একাধিক ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। বিজেপির অফিসিয়াল টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে একটি ছবি পোস্ট করা হয়েছে। সেখানে লেখা হয়েছে, ‘ছবির ব্যক্তিটি হল দেবাঞ্জন দেব, ভুয়ো আইএস অফিসার এবং জাল ভ্যাকসিন কাণ্ডে গ্রেফতার ব্যক্তি। শাসক দল ও প্রশাসনের মদত না থাকলে এই জালিয়াতি ঘটানো সম্ভব? চাল ত্রিপলের পর এবার ভ্যাকসিন নিয়েও জালিয়াতি? মানুষের বিশ্বাসের এই মর্যাদা দিচ্ছে তৃণমূল!!”
এই ইস্যুতে বাক্য ব্যয় করতে পিছপা হননি বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তিনি টুইট করে লিখেছেন, ‘কসবায় ভুয়ো ভ্যাকসিনেশন কেন্দ্রের আয়োজন করেছিল একজন অসৎ ব্যক্তি। তিনি নিজেকে আবার আইএএস অফিসার বলেও দাবি করেন। আর সেই ভুয়ো টিকাকেন্দ্র থেকে টিকা নেন একজন সাংসদ। মানুষের সুরক্ষা কোথায়?” বঙ্গ বিজেপির যুব মোর্চার সাংসদ সৌমিত্র খাঁ একটি ছবি পোস্ট করে লিখেছেন, ‘ভুয়ো আইএস অফিসারের সাথে ভুয়ো তৃনমূল নেতারা।”
ছবির ব্যক্তিটি হল দেবাঞ্জন দেব, ভুয়ো আইএস অফিসার এবং জাল ভ্যাকসিন কাণ্ডে গ্রেফতার ব্যক্তি।
শাসক দল ও প্রশাসনের মদত না থাকলে এই জালিয়াতি ঘটানো সম্ভব?
চাল ত্রিপলের পর এবার ভ্যাকসিন নিয়েও জালিয়াতি? মানুষের বিশ্বাসের এই মর্যাদা দিচ্ছে তৃণমূল!! pic.twitter.com/nOTz1ONVuU
— BJP Bengal (@BJP4Bengal) June 24, 2021
উল্লেখ্য, বুধবার ওই ভুয়ো টিকাকেন্দ্র থেকে তৃণমূল সাংসদ মিমি চক্রবর্তী সহ অনেকেই টিকা নেন। তাঁদের যে আসল টিকা দেওয়া হয়নি, এটা প্রায় নিশ্চিত হয়ে গিয়েছে। ভুয়ো টিকা নিয়ে সমস্যার শেষ নেই সাংসদ অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তীর। করোনা টিকার নামে পেটের রোগের ওষুধ দেওয়া হয়েছে মানুষকে সেটা তিনি বুঝতে পেরে গিয়েছেন। ভুয়ো টিকা নিয়ে যদিও এখনো পর্যন্ত তাঁর তেমন কোনো শারীরিক সমস্যা হয়নি। তবুও ঝুঁকি নিতে চান না মিমি। চিকিৎসকের পরামর্শে আগামিকালই হাসপাতালে গিয়ে লিভার পরীক্ষা করাবেন তিনি। কসবার ওই ভুয়ো ভ্যাকসিনেশন সেন্টারে যারা যারাই টিকা নিয়েছেন তাদের সকলকে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন মিমি।