বাংলাহান্ট ডেস্কঃ গতকাল বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন বিজেপির (Bharatiya Janata Party) রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। সেই বৈঠক সম্পন্ন করে শুক্রবার সকালে কলকাতায় ফেরেন দিলীপ ঘোষ। বিমান বন্দর থেকেই দলীয় বিজেপি কর্মীরা তাকে শ্লোগান দিয়ে অভ্যর্থনা জানান।
কলকাতায় ফিরেই ব্যাপক বাইক র্যালির আহ্বান করেছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। প্রায় শ’পাঁচেক বাইক সহ হুডখোলা গাড়িতে করে রাস্তায় র্যালিতে বেড়িয়ে ছিলেন দিলীপ ঘোষ। এই মিছিল বাইপাস কানেক্টার থেকে হাতিবাগান যাওয়ার কথা ছিল।
যে কোন মূল্যে এই মিছিল কার্যকর করার লক্ষ্য ছিল তাদের। সেই মত চলছিল রুট পরিবর্তনের খেলা। এই মিছিলের বিষয়ে আগে থাকতেই জানতে পারায় বিভিন্ন জায়গায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়। প্রথমে এই মিছিল শুরু হওয়ার কথা ছিল জে ডব্লিউ ম্যারিয়েট হোটেলের সামনে থেকে। কিন্তু পরিস্থিতি বেগতিক দেখে সেই রুট বদল করে বিজেপির নেতৃত্ব। দফায় দফায় মিছিলের পরিবর্তন করে হাতিবাগান যাওয়াই ছিল তাদের উদ্দেশ্য।
প্রথমে বেলেঘাটা বিল্ডিং মোড়ে মিছিল থামাতে গিয়ে প্রচুর জমায়েত থাকায় কিছুটা বেগ পেতে হয় পুলিশকে। তারপর বেলেঘাটা সি আই টি মোড়ে মিছিল আটকাতে লাঠি চার্জ করতে বাধ্য হয় পুলিশ। সেখানে দিলীপ ঘোষের জিপ এগিয়ে গেলে পেছনে থাকা বাইক আরোহীদের উপর বাধ্য হয়ে লাঠি চার্জ করে পুলিশ।
নবান্ন অভিযান সফল করতে বিজেপির শক্তি প্রদর্শনের প্রথম ধাপ এই মিছিল ছিল, এমনটা জানা গিয়েছে। তাই এই মিছিলকে পূর্ণতা দিতে, শিয়ালদহের কাছে পৌঁছালে শিয়ালদহ ক্রসিং-র ওখানে পুলিশের সঙ্গে বিজেপি সদস্যদের বচসা হয়। ব্যাপক ভাবে লাঠি চার্জ করে পুলিশ। কিন্তু সেই সময় দিলীপ ঘোষ ওই স্থান থেকে জিপ নিয়ে হাতিবাগানের দিকে এগিয়ে যায়। তবে বেশ কয়েকজন বিজেপি সদস্যকে এই মিছিল সম্পূর্ণ করা থেকে আটকে সক্ষম হয়েছে পুলিশ।