বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ফের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) আক্রমণের মুখে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে ডাকলে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে তলব নয় কেন? এই প্রশ্নেই তৃণমূল সুপ্রিমোকে বিঁধলেন শুভেন্দু অধিকারী। প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতি ইস্যুতে ধৃত কুন্তল ঘোষের চিঠি মামলায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে তলব করেছিল সিবিআই। এই প্রসঙ্গ উঠতেই এদিন শুভেন্দু বলেন, “আমি চাই, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলি পিসি- ভাইপোর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করুক।”
মঙ্গলবার হুগলির সিঙ্গুরে সভা করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আর সেখান থেকে তোপ দাগেন মুখ্যমন্ত্রীকে। এদিন শুভেন্দুর মুখে উঠে এল সারদা প্রসঙ্গও। এই নিয়ে সংবাদসংস্থা এএনআইকে বিরোধী দলনেতা বলেন, “সারদা দুর্নীতিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়র বিরুদ্ধে সিবিআইয়ের কাছে যথেষ্ট প্রমাণ আছে । কিন্তু তারা তদন্ত করছে না। যদি কেজরিওয়ালকে দিল্লির আবগারি দুর্নীতি নিয়ে জেরা করা যায়, তাহলে মমতাকে নয় কেন ?”
প্রসঙ্গত, গত বছর থেকে নিয়োগ দুর্নীতি ইস্যুতে উত্তাল বঙ্গ। আপাতত চাকরি কেলেঙ্কারি মামলায় তৃণমূলের একাধিক নেতা মন্ত্রী জেলে। এরই মধ্যে গত সপ্তাহে আদালতে হঠাৎই উঠে আসে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম। জেলবন্দি কুন্তল ঘোষের চিঠির প্রেক্ষিতে হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় অভিষেককে জেরা করার অনুমতি দেয়। বিচারপতির এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন অভিষেক। সোমবারই সুপ্রিম কোর্টের রক্ষাকবচ তিনি। কিন্তু তার পরও অভিষেককে তলব করে সিবিআই।
একে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার ‘অতিসক্রিয়তা’ বলে আখ্যা দিয়েছে তৃণমূল। প্রশ্ন উঠেছে সিবিআই এর ভূমিকা নিয়েও। তবে সিবিআইয়ের এই সক্রিয়তার প্রশংসা করেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, “সিবিআই খুব ভালো কাজ করছে। রাজ্য সরকারের কাছ থেকে কোনও রকম সহযোগিতা না-পাওয়া সত্ত্বেও এজেন্সি দ্রুত কাজ করছে।”
পাশাপাশি শুভেন্দু বলেন, “অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধেও যথেষ্ট প্রমাণ আছে। তার পরিবারের অন্য সদস্যরাও দুর্নীতিতে যুক্ত। তাদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করা হচ্ছে না কেন ? যদি আমি মিথ্যে কথা বলি, তাহলে অভিষেক আমার বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করছে না কেন ?”