বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বঙ্গে আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Vote)। তার আগে জেলায় জেলায় সভা করতে মেতে উঠেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। গত সপ্তাহেই ৪ দিনের টানা কর্মসূচী নিয়ে পূর্ব মেদিনীপুর যান তৃণমূল সুপ্রিমো। সেখানে দিঘার সভা থেকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারিকে (Suvendu Adhikari)। সোমবার নন্দীগ্রাম লাগোয়া খেজুরির ঠাকুরনগরে সভা করে পাল্টা মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগের উত্তর দিলেন শুভেন্দু।
ঠিক কী বললেন বিরোধী দলনেতা? দিঘায় দাঁড়িয়ে মমতা যা বলেছিলেন সোমবার তার ‘প্রত্যুত্তর’ শোনা গেল বিরোধী দলনেতার মুখে। শুভেন্দু বলেন, “বড় বড় কথা। মেদিনীপুরে চাকরি, পুরুলিয়া-বাঁকুড়া। একটা নাম দেখান মুখ্যমন্ত্রী। আমি বিরোধী দলনেতা বলছি। একটা প্রমাণ দিন। রাজনীতি ছেড়ে দেবো। আপনার বাড়ির সামনে হাজরা মোড়ে দাঁড়িয়ে ক্ষমা চাইব। পারবেন না।”
শুধু তাই নয়, শুভেন্দু আরও বলেন, “উনি (মমতা) বলেন ‘আমি শিখিয়েছি রাজনীতি’। আপনি কে রাজনীতি শেখানোর? যদি কারও কাছ থেকে শিখে থাকি তার নাম সুশীলচন্দ্র ধাড়া, আভা মাইতি, শিশির অধিকারী।” এদিন নন্দীগ্রাম আন্দোলন নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর করা মন্তব্যেরও জবাব দেন শুভেন্দু। বিধায়ক মমতাকে প্রশ্ন করে বলেন, “আপনি নন্দীগ্রাম আন্দোলনে ছিলেন?”
গত সপ্তাহে দিঘায় দাঁড়িয়ে কী বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী? মমতা বলেন, “এ জেলা ক্ষুদিরামের জেলা। মাতঙ্গিনী হাজরার জেলা। আজকে লজ্জা লাগে এখানকার কিছু হার্মাদ আমাদের থেকে সব কিছু নিয়েছে। ওদের হাত থেকে আমরা চাকরি গুলো দিয়েছিলাম। ওরা আমাদের হাত থেকে চাকরি নিয়ে বিক্রি করেছে। আমরা জানতাম না। পুরুলিয়ায় একটাও দেয়নি। ওইখানকার চাকরি এখানে বেচে দিয়েছে। আজকে সিবিআই ইডি নিয়ে বড় বড় কথা বিজেপি নেতাদের।”
এখানেই থেমে থাকেননি মমতা। কারও নাম না নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এই জেলাতেই কয়েকজন হার্মাদ চাকরি বিক্রি করেছে। পুরুলিয়ার চাকরিও এখানে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছিল। আমাদের অজান্তে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে। যাদের খাইয়ে পরিয়ে মানুষ করেছিলাম। তারা আজ এসব করছে। ভাবছে যাই এবার দিল্লি দখল করে আসি। বাংলা দখল করতে পারে না। তার আবার বড় বড় কথা। নন্দীগ্রামে যে কটা সিট পেয়েছি সেটাও লুঠ করেছে।’
মমতার এসব কথারই এদিন কড়া ভাষায় জবাব দেন মুখ্যমন্ত্রী।