বাংলাহান্ট ডেস্ক : দেশের সর্বোচ্চ আদালত এবং প্রধান বিচারপতিকে নিয়ে বিজেপির (BJP) দুই সাংসদের মন্তব্যে রাজনৈতিক মহলে তর্কবিতর্কের ঝড় উঠেছে। সমালোচনায় মুখর হয়েছে বিরোধী দলগুলি। বিতর্কিত মন্তব্য করে আপাতত আলোচনার কেন্দ্রে রয়েছেন বিজেপির (BJP) দুই সাংসদ নিশিকান্ত দুবে এবং দিনেশ শর্মা। বিতর্ক যখন ক্রমেই মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে, তখনই দুই সাংসদের মন্তব্যের দায় এড়াল বিজেপি। এই মর্মে শনিবার সোশ্যাল মিডিয়ায় বক্তব্য রাখেন দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা।
বিজেপি (BJP) সাংসদদের মন্তব্য নিয়ে বক্তব্য জে পি নাড্ডার
শনিবার এক্স হ্যান্ডেলে জে পি নাড্ডা মন্তব্য করেন, দুই সাংসদের মন্তব্য তাঁদের ব্যক্তিগত। এর সঙ্গে দলের কোনো সম্পর্ক নেই। বিজেপি এই ধরণের মন্তব্যকে সমর্থন করে না। বিজেপি (BJP) সবসময় বিচারব্যবস্থার প্রতি শ্রদ্ধাশীল। দলের মতে, বিচারব্যবস্থা ভারতীয় গণতন্ত্রের অঙ্গ এবং সংবিধান রক্ষার অন্যতম স্তম্ভ। সুপ্রিম কোর্ট এবং দেশের অন্যান্য আদালতকে বিজেপি গণতন্ত্রের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে দেখে এবং তাদের রায়কে শ্রদ্ধার সঙ্গে মেনে চলে। এমতাবস্থায় নিশিকান্ত দুবে এবং দিনেশ শর্মার মন্তব্য থেকে দায় ঝেড়ে ফেলল দল।
কী নিয়ে বিতর্ক: প্রসঙ্গত, বিতর্ক শুরু হয় শনিবার বিজেপি (BJP) সাংসদ নিশিকান্ত দুবের একটি পোস্ট থেকে। এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করার পাশাপাশি সংবাদ মাধ্যমেও মন্তব্য করেন তিনি। সাংসদ বলেন, ‘সুপ্রিম কোর্টই যদি আইন তৈরি করে তাহলে সংসদ বন্ধ করে দেওয়া উচিত।’ আবার এক সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্নাকে ‘গৃহযুদ্ধ’এর জন্য দায়ী করেন তিনি।
আরো পড়ুন : ব্যবস্থা নিয়েছে প্রশাসন, অশান্তি ইস্যুতে বিজেপি- RSS-কে নিশানা করে জনতাকে খোলা চিঠি মমতার
কটাক্ষ করেন আরো এক সাংসদ: তিনি একা নন। বিজেপির (BJP) আরেক সাংসদ তথা উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী দিনেশ শর্মা মন্তব্য করেন, সংবিধান অনুযায়ী, রাষ্ট্রপতি, লোকসভা বা রাজসভাকে নির্দেশ দিতে পারে না। রাষ্ট্রপতি সর্বোচ্চ। তাঁকে কেউ চ্যালেঞ্জ করতে পারে না। এদিকে দেশের উপরাষ্ট্রপতিও কটাক্ষ শানিয়েছেন দেশের বিচার ব্যবস্থাকে।
আরও পড়ুন : শীঘ্রই খুলবে কপাল! মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে মুর্শিদাবাদের ঘরছাড়াদের জন্য বড় উদ্যোগ সরকারের
তিনি বলেন, দেশের বিচারপতিদের আইনপ্রণেতা বা সুপার পার্লামেন্ট হওয়ার কথা বলেনি সংবিধান। এ বিষয়ে তীব্র সমালোচনা করেছে বিরোধী দল। ওয়াকফ সংশোধনী আইন নিয়ে যখন দেশ উত্তাল, তখনই এমন মন্তব্যে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে রাজনৈতিক মহলে।