বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ভোটার তালিকায় অনিয়মের অভিযোগ ঘিরে ফের সরগরম দেশের রাজনীতি। ভোটের আগে বিশেষ নিবিড় সমীক্ষা (SIR) নিয়ে লাগাতার সরব হচ্ছেন বিরোধীরা। এই আবহে এবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও বিজেপি নেতা অনুরাগ ঠাকুর সরাসরি তৃণমূলের অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের লোকসভা কেন্দ্র ডায়মন্ড হারবারে ভর্তি ভুয়ো ভোটার থাকার অভিযোগ তুললেন। তবে এই অভিযোগে চুপ করে থাকেননি অভিষেক। পাল্টা তিনি নিশানা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কেন্দ্র বারাণসীকে (BJP vs TMC)।
অভিষেকের কেন্দ্রে ভোটার বৃদ্ধি অস্বাভাবিক দাবি অনুরাগের (BJP vs TMC)
সম্প্রতি এক সাংবাদিক বৈঠকে অনুরাগ জানান, ‘গত চার বছরে ডায়মন্ড হারবারের ৩০১টি বুথে ভোটার সংখ্যা বেড়েছে প্রায় ১৫ শতাংশ। ২০২৪ সালের ভোটার তালিকা অনুযায়ী, নকল ভোটারের সংখ্যা ৩,৬১৩ এবং ভুয়ো ঠিকানায় নাম রয়েছে প্রায় ১,৫৫,৩৬৫ জনের।’ অনুরাগ দাবি করেন, এই বৃদ্ধি অস্বাভাবিক।
বিজেপি নেতার অভিযোগে তৃণমূলের পাল্টা আক্রমণ (BJP vs TMC)
অনুরাগের অভিযোগের পাল্টা জবাবে তৃণমূলের তরফে জানানো হয়েছে, বারাণসীতে গত চার বছরে ভোটার বৃদ্ধি হয়েছে ১২ শতাংশ, তাহলে সেটি কি অনুরাগের চোখে পড়েনি? দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, “অভিষেক এবার সাত লক্ষের বেশি ভোটে রেকর্ড জিতেছেন। বিজেপি তাতে হাবুডুবু খাচ্ছে। দেশের সর্বত্রই দু’একটা ভোটার এ দিক-ও দিক থাকে, যা সার্বিক ফলাফলে প্রভাব ফেলে না।” তিনি আরও দাবি করেন, ভোটার তালিকা তৈরি করেছে নির্বাচন কমিশনই। এই প্রসঙ্গে মন্তব্য করে তৃণমূলের মুখপাত্র বলেন, বিজেপি নেতা সুকান্ত মজুমদারের স্ত্রীর নামও দুই জায়গায় রয়েছে। সেটা নিয়ে কেন চুপ করে আছে বিজেপি?
বিরোধীরা অভিযোগ করছেন, মহারাষ্ট্র ও দিল্লিতেও কৃত্রিমভাবে ভোটার সংখ্যা বাড়িয়ে ভোটে জিতেছে বিজেপি। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় প্রস্তাব দিয়েছেন, চলতি লোকসভা ভেঙে দিয়ে কমিশন SIR করুক। তাঁর বক্তব্য, ২০২৪ সালের ভোটার তালিকা ত্রুটিপূর্ণ হলে সব সাংসদই তাহলে সেই ভোটে জিতেছেন। তবে শুরু করতে হবে নরেন্দ্র মোদি ও অমিত শাহের মতো শীর্ষ নেতাদের থেকে। এই প্রক্রিয়া শুরু হলে অভিষেক নিজেও ইস্তফা দিতে রাজি বলে ঘোষণা করেন তিনি (BJP vs TMC)।
আরও পড়ুনঃ ভোটের আগেই SIR কেন? বাংলায় শুরু করার আগে শীর্ষ আদালতের কাছে সময় চাইল রাজ্য
উল্লেখ্য, ডায়মন্ড হারবার বনাম বারাণসী বিতর্কে দুই দলের তরজায় রাজনৈতিক পারদ চড়ছে (BJP vs TMC)। SIR নিয়ে তদন্ত শুরু হলে ভোটার তালিকার বাস্তব চিত্র প্রকাশ পাবে, তবে আপাতত এই ইস্যু আগামী নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক সংঘর্ষের অন্যতম হাতিয়ার হয়ে উঠছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।