বাংলাহান্ট ডেস্ক : কেরলের পুরসভা উপনির্বাচনে জয় এল বামেদের। কিন্তু লাল শিবিরকে রীতিমতো সিঁদুরে মেঘ দেখাচ্ছে বিজেপির উত্থান। কেরলের বিভিন্ন পুরসভাগুলির ৪২ টি ওয়ার্ডের মধ্যে ২৪টিই দখলে এসেছে সিপিএমের নেতৃত্বে থাকা এলডিএফ জোটের। অন্যদিকে ১২টি ওয়ার্ডে জয়ী হয়েছে কংগ্রেস। কিন্তু বামেদের গড় কেরলে ৬টি ওয়ার্ডে উঠছে গেরুয়া পতাকা। সিপিএমের আগে জেতা দুটি ওয়ার্ডও এবার গিয়েছে বিজেপির হাতেই।
কেরলের এনার্কুলাম জেলাতেই সব চেয়ে বড় জয় এসেছে গেরুয়া শিবিরের। ওই জেলায় ৫টি আসনে উপনির্বাচনের মধ্যে এনার্কুলাম দক্ষিণ আসনে এবং ত্রিপুনিথরা পুরসভায় ২ টি আসনে মোট ৩টিতেই জয়ী হয়েছে বিজেপির প্রার্থীরা। অবশ্য কোচি পুরসভা এখনও বামেদের দখলেই রয়েছে। এই পুরসভায় বামেরা ইউডিএফ জোটের হাত থেকে কোনওক্রমেই ছিনিয়ে আনতে পেরেছে জয়।
কোচি পুরনিগমের ৭৪ টি আসনের মধ্যে ৩৪ টির দখল পেয়েছে বামেরা। কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন ইউডিএফ দখল করেছে ৩২ টি আসন। বিজেপি পেয়েছে ৫টি আসন। এনার্কুলাম দক্ষিণ কেন্দ্রতে বিজেপিকে হারিয়ে নির্দলদের সহায়তায় পুরবোর্ড গঠন করার পরিকল্পনা করেছিল কংগ্রেস। কিন্তু ওই আসনে বিজেপিই জয়ী হওয়ায় অতি অল্পের জন্য হলেও শেষ রক্ষা হল বাম শিবিরের।
কংগ্রেসের আবার অভিযোগ যে, নিজেদের পুরবোর্ড ধরে রাখার জন্য কংগ্রেসের পরিকল্পনায় জল ঢালতে এনার্কুলাম দক্ষিণ কেন্দ্রে বিজেপিকে সাহায্য করেছে বামেরাই। বলাই বাহুল্য, সব মিলিয়ে কেরলে ৪২ টির মধ্যে ৬ টি ওয়ার্ড জয়কে সাফল্য হিসেবেই দেখছে রাজ্য বিজেপি। কেরলের বিজেপি রাজ্য সভাপতি কে সুধাকরণ বলেন, ‘পুরনিগমের ফলাফলই বলছে, কেরলের মানুষ বাম ও কংগ্রেসের তোষণের রাজনীতিকে প্রত্যাখ্যান করেছে।’ লোকসভা ভোটে যে কেরলে দারুণ ফল করতে চলেছে বিজেপি সে ব্যাপারেও চুড়ান্ত আশাবাদী তিনি।