বাংলা হান্ট ডেস্কঃ এদিন গোটা ভারতবর্ষ জুড়ে মোট 10 টি আসনে উপনির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা হয়। বর্তমানে বেকারত্ব থেকে শুরু করে মূল্যবৃদ্ধি এবং অগ্নিবীরের মতো বিতর্কিত ঘটনাগুলি বিজেপির ভোট ব্যাঙ্কে প্রভাব ফেলবে বলেই আশা করা হচ্ছিল। তবে ফলাফলে দেখা গেল উল্টো চিত্র! বর্তমানে 10 টি আসনের মধ্যে পাঁচটিতে বিজেপির জয় নিশ্চিত হয়ে গিয়েছে, যেখানে কংগ্রেসের ঝুলিতে এসেছে মাত্র দুটি আসন। অপরদিকে, আম আদমি পার্টি, শিরোমনি অকালি দল এবং ওয়াইএসআর কংগ্রেসের প্রার্থীরা একটি করে আসন দখল করেছে।
প্রথমে আসা যাক ত্রিপুরার কথায়। সম্প্রতি, ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের ইস্তফার পর সেই স্থানে মানিক সাহাকে নিয়ে আসা হয়। ফলে ত্রিপুরা ফলাফল ঘোষণার দিকে তাকিয়ে ছিল অনেকে। বিশেষত, যেখানে চারটির মধ্যে একটি উপনির্বাচন কেন্দ্র থেকে লড়াই করেছিলেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী। উল্লেখ্য, এদিন ফলপ্রকাশের পর চারটির মধ্যে তিনটি কেন্দ্রেই জয়লাভ করেছে বিজেপি। প্রত্যাশিতভাবেই টাউন বড়দোয়ালি কেন্দ্র থেকে সহজ জয় পেয়েছেন মানিক সাহা। অপরদিকে যুবরাজনগর এবং সুরমা থেকেও বিপুল ভোটে জয়লাভ করেছে বিজেপি। এখানে কংগ্রেস এবং সিপিএমকে একপ্রকার পর্যুদস্ত করেছে তারা। তবে তিনটি কেন্দ্রে জয়লাভ করলো একমাত্র আগরতলা কেন্দ্র হাতছাড়া হয়েছে তাদের। এক্ষেত্রে সেখানে জয়লাভ করেছেন প্রাক্তন বিজেপি মন্ত্রী এবং বর্তমানে কংগ্রেস নেতা সুদীপ রায় বর্মন।
এছাড়াও যে রাজ্যের ফলাফল ঘোষণার থেকে বিশেষত নজর ছিল বিজেপি নেতৃত্বের, সেই উত্তরপ্রদেশেও সহজ জয় পেয়েছে তারা। উত্তরপ্রদেশের দুটি উপনির্বাচন কেন্দ্র থেকে জয়লাভ করেন যথাক্রমে ঘনশ্যাম সিং এবং অভিনেতা দীনেশ লাল যাদব। এক্ষেত্রে যে দুটি কেন্দ্র থেকে তারা জয়লাভ করতে চলেছেন, সেই দুটিকেই অখিলেশ যাদবের সমাজবাদী পার্টির ‘গড়’ হিসেবে ধরা হতো। ফলে বিজেপির এই জয় উত্তরপ্রদেশের রাজনীতিতে বেশ প্রাসঙ্গিক বলে মনে করা হচ্ছে।
আবার অপরদিকে পাঞ্জাবে ঘটে গিয়েছে অঘটন। সম্প্রতি পাঞ্জাবে ক্ষমতায় আসলেও এদিন সেখানকার এক লোকসভা কেন্দ্র থেকে পরাজিত হয় আম আদমি পার্টি। সেখানে তাদেরকে পরাজিত করেছে শিরোমনি অকালি দল। তবে পাঞ্জাবে হারলেও দিল্লিতে একটি উপনির্বাচন কেন্দ্রে সহজেই জয় পায় তারা। ফলে সব মিলিয়ে দেশে একাধিক বিতর্ক যে বিজেপির ভোট ব্যাঙ্কে সেরকমভাবে প্রভাব ফেলতে পারেনি, সেটাই প্রমাণিত হলো এদিন।