বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রাজ্যের বিভিন্ন পঞ্চায়েতে (Panchayat Vote) চলছে বোর্ড গঠন পক্রিয়া। আর সেই ঘিরেই ফের হাজারো কাণ্ড রাজ্যজুড়ে। বৃহষ্পতিবার বালুরঘাট (Balurghat) ব্লকের ভাটপাড়া পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন প্রক্রিয়া শুরু হয়। প্রসঙ্গত এবারের ভোটে ২২ আসন বিশিষ্ট ভাটপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েত টি তে শাসকদল তৃনমুল কংগ্রেস (Trinamool Congress) ও বিজেপি (BJP) দুই যুযুধান দলের ঝুলিতেই যায় ১১ টি করে আসন। ফলে কোনও দলের পক্ষে একক ভাবে বোর্ড গঠন সম্ভব ছিল না।
এরপর গতকাল প্রশাসনের পক্ষ থেকে এই বোর্ড গঠনের জন্য ভোটাভুটির ব্যবস্থা করা হয়। তৃনমুল ও বিজেপি উভয় দলের জয়ী প্রার্থীদের এই ভোটাভুটি তে অংশ নেবার জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে আমন্ত্রন জানানো হয়। আমন্ত্রনে সাড়া দেয় দুই পক্ষই। তবে এরপরেই ভাগ্য ঘোরে বিজেপির। সকলে ভোটাভুটি তে অংশ নিলে তৃনমুলের এক প্রার্থীর ভোট বাতিল হয়ে যায়। এরপর বোর্ডের প্রধান হিসেবে বিজেপির প্রার্থী নীলিমা বর্মন জয়ী হয়।
আরও পড়ুন: ‘তিনজনই গর্ব..’, ববির মেয়ের হাতে ২ লাখের ব্যাগ, ছোট জনের জুতোর দাম শুনে ‘থ’ সকলে
অন্যদিকে, উপপ্রধান পদের জন্য ভোটাভুটি হলেও একই কাণ্ড। সূত্রের খবর ওই পদে লটারিতে বিজেপি প্রার্থী শিবু সরকার নির্বাচিত হয় বলে জানা গেছে। স্বাভাবিকভাবেই এই জয়ের পর আনন্দে মেতে ওঠে বিজেপির প্রার্থী, সমর্থকেরা। যদিও গেরুয়া শিবিরের অভিযোগ, জেলা প্রশাসন ভোটের রেজাল্টের দিন থেকেই বিজেপি যাতে এই বোর্ডের ক্ষমতা না পায় তার জন্য নানা ভাবে চেষ্টা করেছে।
আরও পড়ুন: আবহাওয়ার তোলপাড়! দক্ষিণবঙ্গের ৯ জেলায় ইয়েলো অ্যালার্ট: আজকের আবহাওয়া
গতকাল ভোটাভুটির দিনও নাকি সেই পক্রিয়া জারি ছিল। বিজেপির সভাপতি স্বরুপ চৌধুরীর দাবি, প্রশাসনের তরফে ভেতর থেকে তাদের হারানোর প্রচেষ্টা চালানো হয়েছিল। কিন্তু স্থানীয় লোকজন তাদের সমর্থনে থাকায় এই ভোটাভুটিতে দীর্ঘ সময় নিলেও তা সম্ভব হয়নি।
উল্লেখ্য, দীর্ঘ চার দশক এই পঞ্চায়েত প্রথম দু টার্ম কংগ্রেস ও পরের দুই টার্ম তৃনমুল কংগ্রেস চালিয়েছে। এবার সেই সবুজের হাওয়াকে সরিয়ে গেরুয়া আবিরের ঝড় উঠল ভাটপাড়া পঞ্চায়েত। সবমিলিয়ে জেলায় ৫ টি পঞ্চায়েত সমিতি বিজেপির দখলে এল।